|
|
|
|
শিশুর হাত-পা বাঁধা দেহ চণ্ডীতলার পুকুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চণ্ডীতলা |
এক দিন নিখোঁজ থাকার পরে বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরের পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হল সাড়ে ৩ বছরের একটি শিশুর মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে চণ্ডীতলার কুমিরমোড়ার রমানাথপুরে। শিশুটির নাম সরফরাজ মল্লিক। বাড়ি কুমিরমোড়ার গাগরাপাড়ায়। হাত-পা বেঁধে পুকুরে ফেলে শিশুটিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে পুলিশ কুকুর আনা হয়। কিন্তু তাতেও শান্ত হয়নি জনতা। দোষীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে পুলিশকে তারা জানিয়ে দেয়। তাঁদের বুঝিয়ে দেহ উদ্ধার করতে রাত হয়ে যায়।
পুলিশেরও বক্তব্য, শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। তবে, কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে তাকে খুন করল, তদন্তকারী অফিসারদের কাছে তা পরিষ্কার নয়। শিশুটির বাবা আজমত মল্লিক বিহারে সোনা-রুপোর কাজ করেন। চণ্ডীতলা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য উপানন্দ সর্দার বলেন, “আজমত অত্যন্ত নিরীহ। কারও সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল না বলেই জানি। তার একরত্তি ছেলেটার খুনিদের পুলিশ অবিলম্বে গ্রেফতার করুক।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার সকালে অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষাকেন্দ্রে গিয়েছিল সরফরাজ। আর বাড়ি ফেরেনি। দুপুর থেকে বিস্তর খোঁজাখুজির পরেও তাকে না পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় চণ্ডীতলা থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত ডায়েরি করেন বাড়ির লোকেরা। এ দিন সকালে রমানাথপুর-ডোমজুড় রাস্তার ধারের একটি পুকুরে দেহটি ভেসে ওঠে। ওইটুকু শিশুর মৃতদেহ দেখে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। শুরু হয় বিক্ষোভ। আশপাশের গ্রাম থেকেও লোকজন এসে বিক্ষোভে সামিল হন। চণ্ডীতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুইও বাহিনী নিয়ে পৌঁছন। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “শিশুটিকে খুন করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। সম্ভবত কোনও আক্রোশের বশে কেউ ওকে হাত বেঁধে পুকুরে ফেলে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সব দিক খোলা রেখে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।” |
|
|
|
|
|