|
|
|
|
তৃণমূল কাউন্সিলর প্রহৃত আরামবাগে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
ত্রাণের মালপত্র সরিয়ে ফেলার অভিযোগ তুলে দলেরই মহিলা কাউন্সিলরকে মারধর করলেন তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্যেরা। বুধবার সন্ধ্যায় হুগলির আরামবাগ লিঙ্ক রোডে একটি চাল কলের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিণীতা ঘোষকে রাতে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় রবীন্দ্রপল্লির তৃণমূল বুথ কমিটির সদস্য মীর ফিরোজউদ্দিনের বিরুদ্ধে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে ওই কাউন্সিলর বলেন, “পাঁচ কুইন্ট্যাল চাল নিয়ে রবীন্দ্রপল্লির প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে বিলি করতে গিয়েছিলাম। গৌরহাটি মোড়ে সেই চাল লুঠ হয়।” পরে পুরপ্রধান সিপিএমের গোপাল কচের পরামর্শে চাল কেনার জন্য স্থানীয় একটি চালকলে যান পরিণীতাদেবী। সেখানে চাল ছিল না। পরের দিন তা পাওয়া যাবে বলে জানান হয়। আর সে কথা ত্রাণ-প্রাপকদের জানাতেই ফিরোজউদ্দিন তাঁর উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। পরিণীতাদেবী বলেন, “আমাকে একের পর এক থাপ্পড়, কিল, ঘুষি মারা হয়।”
তবে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী ফিরোজউদ্দিন জানিয়েছেন, গত পাঁচ দিন ধরে রবীন্দ্রপল্লির ৩৫ জন ক্ষতিগ্রস্তকে শুধুই ফেরানো হচ্ছে। প্রতিদিনই বলা হচ্ছে কাল চাল দেওয়া হবে। তাঁর কথায়, “এ দিন ত্রাণের বিষয়ে চাপ দেওয়া হলে চাল লুঠের গল্প বলে ফের প্রতারণা করলেন ওই কাউন্সিলর। থানার নাকের ডগায় গৌরহাটি মোড়ে চাল লুঠ হওয়া সম্ভব নয়। চাল লুঠের কোথাও কোনও অভিযোগও করেননি উনি। আমাদের বিশ্বাস, উনি চাল নিয়ে দুর্নীতি করেছেন। সে কথা বলতে গিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আর বঞ্চিত মানুষেরা কেউ চড়-থাপ্পড় মেরে থাকতে পারেন।”
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে টানা ঝড়-বৃষ্টির পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, ক্ষতিগ্রস্তদের চাল ও ত্রিপল দেওয়া হবে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাগে পড়ে ৯ কুইন্ট্যাল চাল ও ৯৫টি ত্রিপল। কিন্তু ওই ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লির মানুষজন কোনও ত্রাণই পাননি বলে অভিযোগ। পুরপ্রধান গোপাল কচ বলেন, “যে ভাবে হোক চাল কম পড়েছিল। কিনে নিতে বলেছিলাম। কাউন্সিলরের গায়ে হাত পড়ল কেন? তৃণমূল নেতৃত্বকে বিষয়টি বলেছি।” বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতারা অবশ্য প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। |
|
|
|
|
|