চণ্ডীতলা ২ পঞ্চায়েত সমিতি
হট্টগোলের জেরে সভায় গরহাজির সিপিএম সদস্য
ভাপতি মাঝপথে বেরিয়ে যাওয়ায় সভার সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাহী আধিকারিক তথা বিডিও-কে লিখে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে সম্মত না হওয়ায় তাঁকে এবং সমিতির সহ-সভাপতিকে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘেরাও করে রেখেছিলেন তৃণমূলের সদস্যেরা। বুধবার ঘটনাটি ঘটে হুগলির সিপিএম পরিচালিত চণ্ডীতলা ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে। ওই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সিপিএমের কোনও সদস্যই সমিতিতে আসেননি। ফলে, এ দিন সেখানে কার্যত কোনও কাজই হয়নি। যার জেরে সমস্যায় পড়েন সাধারণ গ্রামবাসীরা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবার দুপুর ৩টে নাগাদ ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে সাধারণ সভা আরম্ভ হয়। সভার শুরু থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে হট্টগোল বাঁধে।
তৃণমূল সদস্যেরা অভিযোগ করেন, সমিতির সভাপতি অচিন্তা রায় অনৈতিক ভাবে দু’টি স্কুলে প্রতিনিধি পাঠান। যার ফলে ওই দু’টি স্কুলের পরিচালন সমিতির ক্ষমতা বামেদের দখলে চলে যেতে বসেছে। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সভাপতি নিয়মিত ভাবে দফতরে আসছেন না। এতে সমিতির কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে। গ্রামবাসীরা অসুবিধায় পড়ছেন। এ নিয়ে হইচই শুরু হয়। সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান অচিন্তাদেবী। এতে আরও ক্ষেপে যান সভায় উপস্থিত তৃণমূলের লোকজন।
ওই পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা, তৃণমূলের জয়দেব রক্ষিত বলেন, “সভাপতি চলে যাওয়ায় সভার কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আমরা বিডিও-কে বলি তত ক্ষণ পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা লিখে দিতে। কিন্তু তিনি তা করতে অস্বীকার করেন।” এর পরেই বিডিও কওসের আলি এবং সহ-সভাপতি প্রভাত বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘেরাও শুরু করেন তৃণমূলের সদস্যেরা। সমিতি সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নিয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত বিডিও লিখিত আকারে দিলে ঘেরাও ওঠে। জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য বিকাশ ঘোষ বলেন, “সিপিএম এখনও এই পঞ্চায়েত সমিতিতে দলতন্ত্র কায়েম করে রাখতে চাইছে। উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। আমরা এরই প্রতিবাদ করেছি।”
ঘেরাওয়ের কথা অস্বীকার না করলেও এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন বিডিও কওসের আলি। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও কথা বলব না।”
বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বও। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অচিন্তা রায়ের সঙ্গে বুধবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে সংবাদপত্রের নাম শুনেই তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। বৃহস্পতিবার ফোন করলে এক মহিলা বলেন, “মা এখন নেই।”
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.