|
|
|
|
গডকড়ীর প্রতিও কড়া বার্তা দিলেন আডবাণী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
যে ভাবে দল চলছে, তার প্রতি প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করে নিতিন গডকড়ীকে বার্তা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। একই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি নিজে এখনও যথেষ্ট সক্রিয়।
এ দিন দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনের মঞ্চ থেকে আডবাণীর ঠিক আগেই গডকড়ী-ঘনিষ্ঠ নেতা অনন্ত কুমার তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন সনিয়া ও মনমোহনকে। সনিয়াকে ‘দুর্নীতির গঙ্গোত্রী’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। কিন্তু তার পরেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকাশ্যে অনন্ত কুমারের সমালোচনা করেন আডবাণী। প্রথমে ‘গঙ্গোত্রী’ শব্দটি ব্যবহারে আপত্তি তোলেন। তার পর বলেন, “কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষা ব্যবহার করলেই যে সব কিছু পরিবর্তন হবে, তা নয়। যুক্তি দিয়ে, জনসমর্থনকে পুঁজি করেই আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে।” |
|
দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনের মঞ্চে আডবাণী। বৃহস্পতিবার। ছবি: প্রেম সিংহ |
এই ঘটনার পরে অনন্ত কুমার আডবাণীর কাছে গিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু কংগ্রেস-বিরোধী মঞ্চকেই আজ যেন আডবাণী নিজের অসন্তোষ প্রকাশের জায়গা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। দলের ভিতরে ‘নিকৃষ্টতা’ কাটিয়ে ওঠার ডাক দিয়ে নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “নিজেদের ব্যবহার, আচরণে যেন কোনও স্বার্থ না থাকে। সব সময় আমি কী পেলাম, কী পেলাম না, সেটা না ভেবে দলের স্বার্থে কাজ করা উচিত।” আডবাণীর মন্তব্য শুনে দলের অনেক নেতাই মনে করছেন, এই বার্তা শুধু সাধারণ কর্মীদের জন্যই নয়। এর মধ্য দিয়ে গোপীনাথ মুন্ডের বিদ্রোহের প্রতিও বার্তা দিতে চেয়েছেন বিজেপির এই প্রবীণ নেতা।
লোকসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে যখন আডবাণীকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তখনও তিনি বলেছিলেন, তাঁর যাত্রা থামবে না। আরএসএসের বরাভয় নিয়ে নিতিন গডকড়ী সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ হাতে তুলে নিলেও আডবাণী যে এখনও যথেষ্ট সক্রিয়, সে কথা বারবার বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। আডবাণী আজ বলেন, সব সময় কোনও ব্যক্তিকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেই যে সব কিছু ভাল হয়ে যাবে, এমন মনে করার কোনও কারণ নেই। গণতন্ত্রে আন্দোলন করতে হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই। তার জন্য ধৈর্য রাখা দরকার। |
|
|
|
|
|