উত্তরপ্রদেশে বিতর্ক
জেলে মৃত্যু ডেপুটি সিএমও-র, বরখাস্ত পাঁচ
খনউ জেলা জেলে বন্দি ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার (ডিসিএমও) যোগেন্দ্র সিংহ সাচানের মৃত্যু নিয়ে রহস্য বেড়েই চলেছে। বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বুধবার রাতে জেল হাসপাতালের শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় সাচানের দেহ পাওয়া যায় বলে জেল সূত্রে জানানো হয়েছে। গলায় ছিল বেল্টের ফাঁস। আজ সাচানের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করে উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেট সচিব শশাঙ্কশেখর সিংহ জানান, তাঁর দেহে ন’টি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এবং অত্যধিক রক্তপাতের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, এটি আত্মহত্যার ঘটনা এবং দেহের পাশে একটি ব্লেডও পাওয়া গিয়েছে। তবে ব্লেড দিয়ে নিজেকে এ ভাবে রক্তাক্ত করার পর সাচান কী ভাবে দোতলার শৌচাগারে গিয়ে গলায় বেল্ট জড়ালেন, তার উত্তর প্রশাসনের নেই। তেমনই জেলে বেল্ট এবং ব্লেড তিনি কী ভাবে পেলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বিরোধী কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির অভিযোগ, সাচানকে খুন করা হয়েছে। এবং জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অর্থ নয়ছয়ের ঘটনায় দুই বসপা নেতাকে বাঁচাতেই সাচানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ওই দুর্নীতির ঘটনা ফাঁস করায় গত ২ জুন চিফ মেডিক্যাল অফিসার বি পি সিংহকে গুলি করে মারে কয়েক জন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী। ১৭ জুন সাচানকে গ্রেফতার করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। গত বছরের অক্টোবরে আর এক সিএমও বিনোদকুমার আর্যের খুনের ঘটনাতেও অভিযুক্ত সাচান। বিরোধীদের অভিযোগ, সাচান মুখ খুললে এই দুর্নীতির ঘটনায় ‘জড়িত’ বসপা নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী বাবু সিংহ
যোগেন্দ্র সিংহ সাচান
খুশওয়া ও অনন্তকুমার মিশ্র বিপাকে পড়তেন। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সেই মায়াবতী সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল। সাচানের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই অবশ্য জেলর, ডেপুটি জেলর-সহ পাঁচ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাচান মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে লখনউ-সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান সমাজবাদী পার্টি ও যুব কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। জলকামানও চালানো হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এর ফলে বহু লোক আহত হয়েছেন। মায়াবতী সরকার এই মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
পাঁচ চিকিৎসকের প্যানেল সাচানের পরিবারের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করেছে। প্রক্রিয়াটি ভিডিও করা হয়েছে। শশাঙ্ক শেখর বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্লেড পাওয়া গিয়েছে। সেটি প্রমাণ হিসাবে রাখা হয়েছে। সম্ভবত ওই ব্লেড দিয়েই হাতের শিরা কাটেন সাচান।” একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে সাচানের ভিসেরা সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট।
Previous Story Desh Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.