|
|
|
|
পস্কোর জমি নেওয়া হয়েছে আইন মেনে, দাবি করল ওড়িশা |
সংবাদসংস্থা • ভুবনেশ্বর |
ওড়িশায় পস্কো প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে আইন মেনেই। রাজ্যের মুখ্যসচিব বি কে পট্টনায়ক এই দাবি করে বলেন, অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও ভাবেই বনসংরক্ষণ আইন ভাঙা হয়নি। পাশাপাশি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ওবং সমাজকর্মীদের জোর করে জমি অধিগ্রহণের তত্ত্বও খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। প্রতিরোধের কারণে কিছু দিন বন্ধ রয়েছে জমি অধিগ্রহণের কাজ। একই সঙ্গে আইন মেনেই অধিগৃহীত জমিতে কারখানা গড়ার উপযুক্ত করে তোলার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে ওড়িশা সরকার। ভবিষ্যতে জগৎসিংহপুরে যাতে সহজেই জমি নেওয়া যায়, তার জন্য সেখানকার অধিবাসীদের সঙ্গে নতুন করে কথাবার্তাও শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
তবে পস্কোর সঙ্গে ওড়িশার চুক্তির মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই অধিগৃহীত জমিতে কারখানা তৈরির জন্য আবার নতুন চুক্তি করতে হবে পস্কো এবং ওড়িশা সরকারকে। পট্টনায়ক জানান, এ নিয়ে কথাবার্তা চলছে, চলতি মাসের শেষেই আবার নতুন চুক্তি করা সম্ভব বলেও তাঁর মত। তবে সেই নতুন চুক্তিতে লৌহ আকরিক রফতানির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ মন্ত্রক। তা মানা হবে কিনা, সে নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি তিনি। যদিও সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, এ নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। অন্য দিকে, পস্কো প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রাজনীতি না করতে আবেদন জানাল বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম। বণিকসভার সেক্রেটারি জেনারেল ডি এস রাওয়াতের দাবি, এই সমস্যা শুধু মাত্র ওড়িশার নয়। বরং, বড় শিল্পগুলির জন্য জমি অধিগ্রহণ সমস্যা সারা দেশেই রয়েছে। পস্কোর ক্ষেত্রে মানুষের ভাবাবেগকে হাতিয়ার করে কিছু রাজনৈতিক দল রাজনীতি করছে। যা বন্ধ করার দাবি জানান তিনি। রাওয়াত জানান, শিল্পের জন্য কৃষি জমির পরিবর্তে খালি পতিত জমি খুঁজে বের করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিরোধের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। পাশাপাশি, যাঁদের জমি নেওয়া হচ্ছে তাঁদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টিও আগে থেকেই নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মানুষদের ওই শিল্পে চাকরির ব্যবস্থা করে এবং সংস্থার শেয়ারহোল্ডার বা অংশীদার হিসেবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে। |
|
|
|
|
|