টুকরো খবর

‘নজরদারি’র তদন্তাদেশ প্রধানমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দফতরে ‘গোপন নজরদারি’ নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটাতে তদন্তের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। প্রণববাবু ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তাঁর মন্ত্রকে তদন্ত চালিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গোয়েন্দা সংস্থা আইবি কিছুই পায়নি। কিন্তু যে ভাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পরে তাঁর মন্ত্রকের বিভিন্ন শীর্ষ কর্তাদের উপরেও নজরদারির অভিযোগ উঠে আসছে, তাতে বিতর্ক বেড়েছে বই কমেনি। অভিযোগ, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ এক্সাইজ অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিইসি)-এর বর্তমান চেয়ারম্যান এস দত্তমজুমদারের ফোনে নিয়মিত আড়ি পাতা হত। শুধু তা-ই নয়, বছরখানেক আগে শিলচরবাসী তাঁর এক বোন এবং কলকাতায় এক বন্ধুর ফোনেও নিয়মিত আড়ি পাতা হত। তখন তিনি এ বিষয়ে ডিআরআই (ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স)-এ সবিস্তার অভিযোগও জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, দত্তমজুমদার সে সময়ে সিবিইসি-র চেয়ারম্যান পদের দৌড়ে ছিলেন। তাঁর ফোনে নজরদারির এটাই কারণ বলে মনে করছেন অর্থ মন্ত্রকের একাংশ। অর্থ মন্ত্রক সূত্রে আজ বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা না-হলেও বিজেপি শিবির যথারীতি সরব। বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “সরকারের শীর্ষস্তরে বিশ্বাসের অভাব আর এক বার প্রমাণিত হল।” অন্য দিকে একের পর এক গোপন নজরদারির ঘটনা সামনে আসায় প্রধানমন্ত্রীও চিন্তিত। আইবি-কে তিনি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ বিজেপির
ঘর গোছাতে সরকার সংসদের অধিবেশন পিছিয়ে দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু বিরোধীদের একত্রিত করে সনিয়া-মনমোহনকে আক্রমণের কৌশল নিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। লালকৃষ্ণ আডবাণী আজ দিল্লিতে কংগ্রেসের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনা করেন বলেন, “বিরোধী শিবিরকে একত্রিত হয়ে কংগ্রেসের অপকর্ম ফাঁস করার লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনই সরকারকে অপদস্থ করার উপযুক্ত মঞ্চ।” বিজেপি নেতৃত্ব ইতিমধ্যে সনিয়া-মনমোহনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কংগ্রেসকে দুর্বল করার রণনীতি নিয়েছেন। এ বারে বাকি বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস-বিরোধিতার রাশও নিজেদের হাতে তুলে নিতে চাইছেন তাঁরা। বিজেপির আক্রমণের লক্ষ্যে এ বারে রয়েছেন দয়ানিধি মারান, পি চিদম্বরম ও শীলা দীক্ষিত। আডবাণী আজ দুর্নীতি-বিরোধী মঞ্চেই দাঁড়িয়ে বলেন, “চিদম্বরম, মারান আর শীলারও তিহার জেলে যাওয়ার সময় এসেছে। তদন্ত যে ভাবে এগোচ্ছে, তাতে আগামী দিনে বোঝা যাবে, প্রধানমন্ত্রীরই বা কী হাল।” টু-জি স্পেকট্রাম, গ্যাস-দুর্নীতিতে চিদম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দফতরে নজরদারির জন্যও চিদম্বরমকে দায়ী করছে বিজেপি।

মোবাইল বেউর জেলে
বেউর জেলে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি মোবাইল, কয়েকটি চার্জার এবং বেশ কিছু মাওবাদী প্রচার পুস্তিকা উদ্ধার করল পুলিশ। পটনা পুলিশের সুপার শিবদীপ লান্ডের নেতৃত্বে একটি দল আজ সকালেই বেউর জেলে আচমকা তল্লাশি চালায়। পুলিশ সূত্রে খবর, জে এন সিংহ নামে এক কয়েদির কাছ থেকে উদ্ধার হয় ওই মোবাইল।পটনার কোতয়ালি থানায় কাল রতন শর্মা নামে এক প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, বেউর জেলে বন্দি কুখ্যাত অপরাধী বলে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছে। না দিলে তাঁকে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পটনা পুলিশ ও প্রশাসন। কাল রাতেই পটনার জেলাশাসক আচমকা তল্লাশি অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন পুলিশকে। এর পর আজ সকালে বেউর জেলে অভিযান চালিয়ে মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এ বারই অবশ্য প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার বেউর-সহ বিহারের বিভিন্ন জেলে তল্লাশি চালিয়ে মোবাইল-সহ বিভিন্ন আপত্তিকর জিনিস উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি গোপালগঞ্জ জেলে এক ডাক্তারকেও পিটিয়ে মেরে ফেলে কয়েদিরা। বুদ্ধদেব সিংহ নামের ওই চিকিৎসকের হত্যা মামলা সম্প্রতি সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানোর অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

অপহৃত ব্যবসায়ীর খোঁজ মিলল
অপহৃত ব্যবসায়ী জয়নারায়ণ বনশলের সন্ধান মিলল অরুণাচল প্রদেশে। অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। ১৬ জুন সন্ধ্যায় ডুমডুমা এলাকার বাসস্ট্যান্ড থেকে তিন সশস্ত্র যুবক তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।এই অপহরণের প্রতিবাদে তিনসুকিয়া বন্ধের ডাক দিয়েছিল ব্যবসায়ী সংগঠন। প্রথমে পুলিশ সন্দেহ করে, ঘটনার পিছনে আলফার হাত রয়েছে। তবে পরে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করে জানা যায়, তারাই বনশলকে অপহরণ করে অরুণাচল নিয়ে যায়। ডাকাতরা জানায়, রাজু গুপ্ত নামে এক ব্যক্তির হেফাজতে আছেন জয়নারায়ণবাবু। সেই সূত্র ধরে তিনসুকিয়া ও নামসাই পুলিশ গত রাতে অভিযান শুরু করে। আজ সকালে উদ্ধার করা হয় জয়নারায়ণকে। মূল অভিযুক্ত রাজু গুপ্তকে ধরা যায়নি।

পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি
ওড়িশার সুন্দরগড় জেলায় কয়দা-টেনসা এলাকায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা একটি পেট্রোল পাম্প থেকে চল্লিশ হাজার টাকা লুঠ করে চম্পট দিল। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হয়ে ওই পাম্পের মালিক ও একজন কর্মচারী এখন হাসপাতালে। কাল সন্ধ্যাবেলায় টেনসা-কয়দা রোডে তেঁতুলডিহিতে ঘটেছে এই ডাকাতির ঘটনা। পুলিশ জানায়, টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার আগে দু’ রাউন্ড গুলি চালায় এবং পাম্পের ম্যানেজার ও দুই কর্মীকে মারধরও করে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত এক বছরে এটি নিয়ে এই এলাকায় অন্তত দশটি লুঠের ঘটনা ঘটল। ব্যাঙ্ক এবং পেট্রোল পাম্পগুলিই ইদানীং দুষ্কৃতীদের হামলার নিশানা হয়ে উঠেছে। পুলিশ জানায়, অপরাধীদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে, তবে কাউকে গ্রেফতারের খবর নেই।

ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণের চেষ্টা উত্তরপ্রদেশে
বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ফের ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশ। পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে মুসৌরি থেকে দিল্লি ফিরছিলেন দুই মহিলা। তাঁদের সঙ্গে দুই পুরুষ বন্ধুও ছিলেন। মুজফ্ফরনগর জেলার দিল্লি-দেরাদুন জাতীয় সড়কের কাছে ভেহালনা চকে একটি পেট্রোল পাম্পে গাড়ি দাঁড় করান তাঁরা। সেই সময় সাত-আট জন দুষ্কৃতী ওই দুই মহিলাকে তাদের গাড়িতে তুলে নেয়। এর পর একটি বাড়ির ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তারা দু’জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কোনও মতে সেখান থেকে পালান ওই দুই মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা এক বসপা বিধায়কের সহকারী বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারীরা। যে গাড়িতে তাঁদের অপহরণ করা হয়েছিল, তাতে ভিআইপি নম্বর প্লেটও লাগানো ছিল বলে জানিয়েছেন ওই দুই মহিলা। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দু’জন পুলিশ কর্মী। আরও তিন জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুলিশের
আজ দ্বারভাঙায় সোভান গ্রামের কাছে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মহম্মদ জব্বর নামে এক কনস্টেবলের। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সিকন্দর পূর্তি নামে আর এক পুলিশকর্মী। পুলিশের টহলদারি জিপে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা মারলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
Previous Story Desh First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.