|
|
|
|
কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে বিজেপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নিজেদের ঘর গোছাতে সরকার সংসদের অধিবেশন পিছিয়ে দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু বিরোধীদের একত্রিত করে সনিয়া-মনমোহনকে আক্রমণের কৌশল নিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির শীর্ষ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী আজ দিল্লিতে কংগ্রেসের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনা করেন বলেন, “বিরোধী শিবিরকে একত্রিত হয়ে কংগ্রেসের অপকর্ম ফাঁস করার লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনই সরকারকে অপদস্থ করার উপযুক্ত মঞ্চ।” বিজেপি নেতৃত্ব ইতিমধ্যে সনিয়া ও মনমোহন সিংহকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কংগ্রেসকে দুর্বল করার রণনীতি নিয়েছেন। এ বারে বাকি বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস-বিরোধিতার রাশও নিজেদের হাতে তুলে নিতে চাইছেন তাঁরা।
সুরেশ কলমডী, এ রাজা, কানিমোঝির পর বিজেপির আক্রমণের লক্ষ্যে এ বারে রয়েছেন দয়ানিধি মারান, পি চিদম্বরম এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। আডবাণী আজ দুর্নীতি-বিরোধী মঞ্চেই দাঁড়িয়ে বলেন, “চিদম্বরম, মারান আর শীলারও তিহার জেলে যাওয়ার সময় এসেছে। তদন্তের গতি যে ভাবে এগোচ্ছে, তাতে আগামী দিনে বোঝা যাবে, খোদ মনমোহন সিংহেরই বা কী হাল।” টু-জি স্পেকট্রাম, গ্যাস-দুর্নীতিতে চিদম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দফতরে নজরদারির জন্যও চিদম্বরমকে দায়ী করছে বিজেপি। রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে থাকার জন্যই মনমোহন সিংহ ও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছেন চিদম্বরম। তার মধ্যেই সিবিইসি চেয়ারম্যানের ফোনে আড়ি পাতার খবরও আসছে।” আডবাণী আজ দাবি করেন, “চুইং গাম তত্ত্ব কোনও ভাবেই হজম হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর উচিত নীরবতা ভঙ্গ করে গোটা দেশকে জানানো, কে এর পিছনে দায়ী। ” কাশ্মীর প্রশ্নে সরকার যদি ১৯৫৩ সালের পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে, তা হলে দেশজুড়ে বড় আন্দোলনের হুমকিও আজ দিয়ে রাখলেন আডবাণী। তিনি বলেন, “বিদেশি চাপে সরকার এ ব্যাপারে সমঝোতা করার কথা ভাবছে। অসমর্থিত সূত্রে বলা হচ্ছে, সমঝোতা নাকি হয়েও গিয়েছে। সেটা সত্যি হলে এমন আন্দোলন হবে যে সরকার কল্পনাও করতে পারবে না।” |
|
|
|
|
|