|
|
|
|
অভিযুক্ত গার্ড |
মেট্রোয় মারধর, মুখ ফেটে গেল পুলিশের |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলকে মারধরের অভিযোগ উঠল মেট্রো রেলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, ওই কনস্টেবলের নাম নারায়ণচন্দ্র দাশ। গত মঙ্গলবার রাত সওয়া ১০টা নাগাদ রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে চারু মার্কেট থানায়। মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
পুলিশি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে মেট্রোর কালীঘাট স্টেশনে গড়িয়াগামী একটি ট্রেনের গার্ডের সঙ্গে ওই কনস্টেবলের তর্কাতর্কি হয়। তার জেরে মেট্রোর ওই কর্মী রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে নারায়ণবাবুকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। মুখে গুরুতর আঘাত নিয়ে নারায়ণবাবু কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কর্মীর নাম কে সি সিকদার।
নারায়ণবাবু কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের কর্মী। ডেপুটেশনে মেট্রো রেলে কর্মরত। পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন তিনি গড়িয়াগামী ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন। কালীঘাট স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোর সময় নিয়ে গার্ডের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। এর পরে নারায়ণবাবু রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে নামলে ফের দু’জনের মধ্যে বচসা বাধে। অভিযোগ, ওই মেট্রোকর্মী হঠাৎই নারায়ণবাবুকে মারধর শুরু করেন। মারের চোটে ওই পুলিশকর্মীর মুখ ফেটে যায়। এক পুলিশ অফিসার জানান, ট্রেন ছেড়ে নারায়ণবাবুর পিছনে ধাওয়া করে স্টেশনমাস্টারের ঘর পর্যন্ত গিয়েও তাঁকে মারধর হয়।
ঘটনার পরেই ওই স্টেশনে পৌঁছে যান কালীঘাট ও রবীন্দ্র সরোবরের ভারপ্রাপ্ত কলকাতা পুলিশের এক অফিসার। তিনি স্টেশনমাস্টারের কাছে নারায়ণবাবুকে দিয়ে অভিযোগ দায়ের করান। এক পুলিশকর্মী জানান, স্টেশনমাস্টার প্রথমে অভিযোগ নিতে চাননি। পরে পুলিশের পরিচয় পেয়ে অভিযোগ নেন। তার পরে আহত নারায়ণবাবুকে প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই কনস্টেবল। বুধবার নারায়ণবাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। |
|
|
|
|
|