|
|
|
|
অধিগ্রহণের ‘স্বচ্ছতা’ |
নিউ টাউনের জমি নিয়ে আজ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
এ বার নিউটাউনের জমি নিয়ে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা লাগোয়া এই উপনগরী গড়ে তুলতে জমি অধিগ্রহণ ঠিক পথে হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে আজ, শুক্রবার মহাকরণে বৈঠক করবেন তিনি।
নিউটাউনের জমি অধিগ্রহণ ও তার বিলিবণ্টন সম্পর্কে ভোটের আগে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছিল মূলত তৃণমূল। দলের কয়েক জন নেতা তখন এ-ও ঘোষণা করেছিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। ইতিমধ্যে রাজ্যে শাসনক্ষমতায় সেই পালাবদল হয়েছে। নিউটাউনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ‘হিডকো’র চেয়ারম্যানও বদলে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হিডকো-র নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন যথাক্রমে আবাসনমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায় ও শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। স্বভাবতই শুক্রবারের বৈঠকে নিউটাউনের জমি-কাণ্ড খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী কোনও তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রায় ৮ হাজার একর জায়গা নিয়ে অত্যাধুনিক উপনগরী নিউটাউনের গড়ে ওঠার কথা। এর মধ্যে ৬৮০০ একরের বেশি অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে গত দশ বছরে। আবাসন-সূত্রের খবর: মোট জমির ৪৫% বরাদ্দ থাকছে পরিকাঠামো, পরিবেশ ও সবুজায়নের জন্য। এর প্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত অধিগৃহীত জমির প্রায় ২১০০ একর বিভিন্ন সংস্থা ও আবাসনকে বিক্রি করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের এক প্রতিনিধি জানান, অধিগ্রহণ হয়ে গেলেও এখনও ১৮০০ একর জমি পড়ে রয়েছে হিডকো-র হাতে। অন্য দিকে প্রায় ১১০০ একরের অধিগ্রহণ বাকি। এই পরিস্থিতিতে নিউটাউনের বাকি জমি অধিগ্রহণ এবং অধিগৃহীত জমি বণ্টনের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোনও বিশেষ ব্যবস্থা নেন কি না, সেটাই দেখার। যদিও সরকারি মুখপাত্রের বক্তব্য, নিউটাউন গড়তে জবরদস্তি জমি দখলের যে অভিযোগ উঠেছে, মূলত সে সম্পর্কে আলোচনা করতেই বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিউটাউনে বিলি হওয়া জমির মধ্যে উইপ্রো, ইনফোসিস-সহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে প্রায় চারশো একর। তিনশো একর চিহ্নিত হয়েছে অর্থতালুক (ফিনান্সিয়াল হাব)-এর জন্য। রাজ্যের বহু বড় শিল্পসংস্থা অফিস করতে নিউটাউনে জমি নিয়েছে। কলকাতায় থাকা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাও জমি পেয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও জমি দিয়েছে হিডকো।
হিডকো-য় কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নতুন সরকার। সংস্থা সূত্রের খবর: গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে ‘চেয়ারম্যান কোটা’য় যে সমস্ত জমি বিলির সিদ্ধান্ত হিডকো নিয়েছিল, তা স্থগিত থাকছে। অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে জমি বরাদ্দ হলেও জমির দাম নেওয়ার কাজ আপাতত বন্ধ। বস্তুত হিডকো-য় ‘চেয়ারম্যান কোটা’ আদৌ রাখা হবে কি না, মুখ্যমন্ত্রী সেটাও ঠিক করবেন। |
|
|
|
|
|