|
|
|
|
রাজ্যে ৩০ কোটি লগ্নি কেভেন্টার্স অ্যাগ্রোর |
গার্গী গুহঠাকুরতা • কলকাতা |
ইতিমধ্যেই রাজ্যে কৃষিপণ্য বিপণন আইন পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার। আর এই সম্ভাবনাকে পুঁজি করেই পশ্চিমবঙ্গে লগ্নির নয়া পরিকল্পনা করছে কেভেন্টার্স অ্যাগ্রো। ৩০ কোটি টাকারও বেশি লগ্নিতে রাজ্য জুড়ে কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও বিপণন কেন্দ্র গড়ছে সংস্থা। অনেকটা মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স রিটেলের ‘মডেল’-এ। কেভেন্টার্সের দাবি, এ বছরেই চালু হয়ে যাবে তাদের অধিকাংশ কেন্দ্র। এই পরিষেবার সুযোগ নিতে পারবেন প্রায় ৫০ হাজার কৃষক।
২০০৪ থেকেই এ রাজ্যে কৃষিপণ্য পাইকারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কেভেন্টার্স। সংস্থার দাবি, কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও বিপণনের উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ার কাজও আগেই শুরু করেছিল তারা। কিন্তু বার বারই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের কৃষিপণ্য বিপণন আইন। কিন্তু এ বার সেই আইন পরিবর্তনের বিষয়ে আশাবাদী সংস্থা। এ প্রসঙ্গে এই গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ময়াঙ্ক জালান জানান, “আশা করছি, কৃষক-স্বার্থ রক্ষার খাতিরেই আইন বদল হবে।” জালান জানান, প্রথম দফায় নানা জেলার ১৩টি স্থানে কেন্দ্র তৈরি হবে। মূল কেন্দ্র বা ‘হাব’ হবে দু’টি। তার মধ্যে একটি বারাসতে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। অন্যটি শিলিগুড়িতে হবে। বারাসতের সঙ্গে যুক্ত করা হবে কিছু কেন্দ্র। শিলিগুড়ি কেন্দ্রের উপর নির্ভর করে ব্যবসা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে উত্তরবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, কিছুটা রিলায়্যান্স রিটেলের আদলেই ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ মডেল তৈরি করছে কেভেন্টার্স। প্রাথমিক পরিকল্পনায় ‘রুরাল বিজনেস হাব’ বা গ্রামীণ ব্যবসা কেন্দ্র তৈরির কথা ছিল সংস্থার। একই পথে হাঁটছে কেভেন্টার্স। কান্দি, হলদিবাড়ি, ইংরেজবাজার, লালবাগ, কাশিমবাজার, রানাঘাট, ধুপগুড়ি, পাঞ্জিপাড়া, করিমপুর, দেগঙ্গা ও পান্ডুয়ায় গ্রামীণ কেন্দ্র তৈরি করবে তারা। প্রসঙ্গত, ২০০৮-এ কৃষিপণ্য বিপণন আইন নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, তখন লাইসেন্স না-পাওয়ায় কৃষিপণ্য কিনতে কেভেন্টার্সের সঙ্গে চুক্তি করে রিলায়্যান্স।
প্রতিটি কেন্দ্র গড়তে লাগবে ১ একর। সম্ভাব্য লগ্নি ২.৫ কোটি। কৃষিপণ্যের মানোন্নয়ন, উৎপাদন ব্যয় হ্রাস, মাটি পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও মিলবে। |
|
|
|
|
|