|
|
|
|
চোলাই মদ ধরতে অভিযান, ধৃত ৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
জেলার গ্রামীণ এলাকায় অবৈধ চোলাই মদ কী হারে তৈরি চলছে, অভিযানে নেমে তা টের পেলেন জেলা আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা। ৬ থেকে ২৩ জুন বর্ধমান ও কাটোয়া মহকুমায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ১৯০ লিটার স্পিরিট, ৪৭ হাজার লিটার চোলাই মদ তৈরির উপকরণ ও ৩৭০ লিটার চোলাই মদ। কাটোয়ার রেলগেট এলাকা, ভাতারের কুবাজপুর ও মেমারির মহিষগরিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন চোলাই প্রস্তুতকারককে। আটক করা হয়েছে চোলাই বিক্রেতাদের মদ নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহার করা দু’টি সাইকেল ও দু’টি মোটরবাইক।
শুধু তাই নয়, বর্ধমান শহরের ভাতছালার আঁকরপাড়ায় ১৭ জুন হানা দিয়ে আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা দেখেন, নকল বিদেশি মদ তৈরির কারখানা চলছে রমরমিয়ে। সেই কারখানা থেকে আটক করা হয়েছে ৮ লিটার রেকটিফায়েড স্পিরিট, ২৩ লিটার নকল মদ, কৃত্রিম রং। কারখানা থেকে একটি মোটরবাইক আটক করা হয়েছে। তবে এই অভিযানে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
কয়েক দিন আগে হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় মদে বিষক্রিয়ায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর পরে রাজ্য আবগারি দফতরের নির্দেশে এক টানা অভিযানে নামে বর্ধমান পূর্ব আবগারি দফতর। কিন্তু এত দিন ধরে রমরমা কারবার চলা সত্ত্বেও আবগারি দফতর হাত গুটিয়ে বসেছিল কেন?
আবগারি দফতরের ডেপুটি এক্সসাইজ কালেকটর সুরজিৎ সরকার বলেছেন, “আমরা আগে অভিযান চালাইনি, এ কথা ঠিক নয়। তবে রাজ্য সরকারের নির্দেশে এই অভিযানকে আমাদের অনেক বেশি গতিসম্পন্ন করতে হয়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত, এমনকী মাঝে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াতেও আমরা অভিযান চালিয়েছি। অভিযান এখনও চলছে।”
মেমারির আবগারি ওসি হান্নান খান বৃহস্পতিবার বলেছেন, “এ দিন মেমারির মহিষগরিয়া এলাকায় হানা দিয়ে ৪৫ লিটার অবৈধ চোলাই মদ-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” সদরের ওসি প্রদীপকুমার ঘোষ বলেছেন, “প্রচুর মদ তৈরির হাঁড়ি-সহ নানা উপকরণও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গত বেশ কয়েক দিনের এই অভিযানে।” |
|
|
|
|
|