স্মারকলিপি দেওয়ার নাম করে কাঁকসার সিপিএম পরিচালিত একাধিক পঞ্চায়েতের কাজকর্মে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের কাঁকসা জোনাল কমিটির সম্পাদক বীরেশ্বর মণ্ডল বলেন, “স্মারকলিপি দেওয়ার নামে পঞ্চায়েতে প্রধান ও আধিকারিকদের হেনস্থা করছে তৃণমূল।” তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন অসম্পূর্ণ প্রকল্প সমাপ্ত করার দাবি ও দূর্নীতি-স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করা হচ্ছে।
কাঁকসা ব্লকের ৬টি পঞ্চায়েতই সিপিএমের দখলে। সম্প্রতি বনকাটি, আমলাজোড়া, ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। কাঁকসার তৃণমূল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একশো দিনের কাজ প্রকল্পের বকেয়া মেটানো, ওই প্রকল্পে স্বজনপোষণ বন্ধ করা, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা দেওয়া-সহ এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন প্রভৃতি দাবিতে দলের কর্মী সমর্থকরা সম্প্রতি বিভিন্ন পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখান ও স্মারকলিপি জমা দেন। তা করতে গিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান ও আধিকারিকদের হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। কাঁকসা জোনাল কমিটির সম্পাদক বীরেশ্বরবাবু বলেন, “বিক্ষোভের সময় প্রধান ও আধিকারিকদের নানা কটূ কথা বলা হয়েছে। বাধা দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতের কাজকর্মে।” তৃণমূল নেতা পল্লববাবু সিপিএমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “এতদিন পঞ্চায়েতে দলবাজি চালিয়েছে সিপিএম। বিরোধীরা প্রতিবাদ করলে ভয় দেখানো হয়েছে। আর তা চলতে দেওয়া হবে না।” |