|
|
|
|
তমলুক জেলা হাসপাতাল |
অনিয়ম রুখতে কড়া ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল চত্বরে কয়েক বিঘা আয়তনের পুকুরে মাছ চাষের জন্য বার্ষিক লিজের পরিমাণ মাত্র আড়াই হাজার টাকা। সম্প্রতি তমলুক জেলা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। আরও বেশ কিছু বেআইনি কার্যকলাপ নিয়ে এ দিনের বৈঠকে সরব হন রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্যরা। সেই সব অনিয়ম রুখতে কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে কয়েক বিঘা আয়তনের একটি বিশাল পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরে মাছ চাষের জন্য গত দশ বছর ধরে হাসপাতালের তহবিলে আড়াই হাজার টাকা করে জমা পড়ছে। কিন্তু লিজ সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্রই নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। এত দিন সেই অনিয়মের দিকে নজরও দেয়নি কেউ। হাসপাতালের সুপার নিমাই মণ্ডল বলেন, “পূর্বতন সিপিএমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিরঞ্জন সিহি লিজের বন্দোবস্ত করেছিলেন। কিন্তু এই নিয়ে নথিপত্র আমাদের কাছে নেই। আপাতত যা জানতে পেরেছি হাসপাতালের কর্মচারী সমবায় সমিতির নামে বকলমে কয়েক জন স্বাস্থ্যকর্মী বিষয়টি দেখভাল করতেন।” বৈঠকে উপস্থিত জেলা সভাধিপতি গান্ধী হাজরা, জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দাস-সহ রোগীকল্যাণ সমিতির অন্য সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরে ঠিক করেন ওই পুকুরের লিজ খারিজ করা হবে। পুকুরে মাছ চাষের জন্য প্রকাশ্যে নিলাম করবে জেলা পরিষদ। রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা জেলা সভাধিপতি গান্ধী হাজরা বলেন, “কয়েক বিঘা আয়তনের ওই পুকুরের বার্ষিক লিজ হওয়া উচিত লক্ষাধিক টাকা। এত দিন মাত্র আড়াই হাজার টাকায় বার্ষিক লিজ দেওয়া হত জেনে বিস্মিত হয়েছি। এ বার থেকে লিজের জন্য জেলা পরিষদ প্রকাশ্যে নিলাম করবে। প্রাপ্ত টাকা রোগীকল্যাণ সমিতির তহবিলে জমা হবে।”
জেলা হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে বাইরের বেসরকারি প্যাথলজি ও এক্স-রে প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঢুকে রোগীর পরিবারের লোকজনদের বিভ্রান্ত করে বলে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ। জেলা সভাধিপতি জানান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন যাতে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে না পারেন, সে জন্য চিকিৎসকদের সতর্ক করা হবে। আর হাসপাতালে সরকারি ভাবে কী কী ওষুধ সরবরাহ করা হয়, তার তালিকাও টাঙিয়ে দেওয়া হবে। এর ফলে কী কী ওষুধ হাসপাতালে মিলবে তা সহজেই জানা যাবে। এ দিন বৈঠকে হাসপাতাল চত্বরে বেআইনি ভাবে বসা গুমটি দোকান ও অবাঞ্ছিত লোকজনদের উৎপাত বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা হাসপাতালে একটি মাত্র অ্যাম্বুল্যান্স থাকায় খুবই সমস্যা হয়। বৈঠকে জেলা হাসপাতালের জন্য আরও একটি অ্যাম্বুল্যান্স কেনার সিদ্ধান্ত হয়। |
|
|
|
|
|