টুকরো খবর

কর্মীর অভাবে বন্ধ এক্স-রে
গত চার দিন ধরে টেকনিসিয়ান নেই। ফলে রোগীদের এক্স-রে করা হচ্ছে না। চিত্রটি হাওড়ার জয়পুরের অমরাগড়ি বি বি ধর গ্রামীণ হাসপাতালের। এখানে আমতা ২ ব্লক ছাড়াও উদয়নারায়ণপুর এবং হুগলির খানাকুল ১ এবং ২ এই তিনটি ব্লকের বেশ কিছু এলাকার রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৫০ জন করে রোগী আসেন এক্স-রে করার জন্য। কিন্তু গত চার দিন আগে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এই হাসপাতালের এক্স-রে টেকনিশিয়ানকে তুলে নেয়। ফলে এক্স-রে করাতে আসা রোগীরা বিফল হয়ে ফিরে আসছেন। আমতার বিধায়ক কংগ্রেসের অসিত মিত্র বলেন, “আমি স্বাস্থ্য দফতরকে অবিলম্বে টেকনিয়িসিয়ান নিয়োগ করার জন্য বলেছি। না-হলে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে ওই টেকনিশিয়ান আসলে অন্য হাসপাতালের কর্মী ছিলেন। তাঁকে সেখানে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। খুব শীঘ্র অমরাগড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে এক্স-রে টেকনিসিয়ান নিয়োগ করা হবে।

স্বাস্থ্য বেহাল
সরকারি হাসপাতালের কোয়ার্টার দখল করে চলছে খাটাল! পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীর বরাদ্দ কোয়ার্টার ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন স্থানীয়রা। কয়েক বছর ধরে পুরাতন মালদহের মৌলপুর হাসপাতালের কোয়ার্টার দখল করে খাটাল ও কোয়ার্টার ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা চলার কথা জেনেও নীরব স্বাস্থ্য দফতর। বিষয়টি যার দেখার কথা, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক নিজেই তাঁর কোয়ার্টারে তালা মেরে মালদহ শহরেৃবাড়িতে থাকেন বলে অভিযোগ। হাসপাতালের সরকারি কোয়ার্টার বেদখল হওয়ার কথা জেনেও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক উচ্ছেদের ব্যবস্থা করেননি । মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্রীকান্ত রায় বলেন, “কী করব বলুন? কোয়ার্টার ফাঁকা করালেও ফের বেদখল হয়ে যাবে। প্রাচীর না থাকায় বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি কোয়ার্টার দখলমুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।”

জল বন্ধ
হাসপাতালে জল সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিপাকে রোগীরা। রবিবার এ ঘটনা রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাইপ লাইনে খারাপ হওয়ায় ভোর থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত জল সরবরাহ বন্ধ থাকে। ওই সমস্যার কথা শুনে সেখানে যান তৃণমূল নেতারা। তাঁরা হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে কথা বলেন। দলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির সদস্য তিলক চৌধুরী বলেন, “পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে কী কী সমস্যা রয়েছে তা সুপারের কাছে জানতে চেয়েছি। তাঁরা সমস্যার কথা জানালে দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।” হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “মাঝে মধ্যেই হাসপাতালে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেয়। রোগীরা সমস্যায় পড়েন। চিকিৎসা পরিষেবাও ব্যহত হয়। সমস্যার কথা পিএইচই, জেলা প্রশাসন ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের জানিয়েছি।”
রোগীর মৃত্যু, শো-কজ
চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে দুই নার্স-সহ এক চিকিৎসককে শো-কজ করল বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে পেটে ব্যথা নিয়ে বোলপুরের রাইপুরের বাসিন্দা মিঠুন বাউরি (২০) নামে এক যুবক ভর্তি হয়েছিলেন। ওই রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার মহকুমা হাসপাতাল সুপারের কাছে চিকিৎসায় গাফিলতি ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। রবিবার হাসপাতাল সুপার সুদীপ মণ্ডল বলেন, “দুই নার্স ও চিকিৎসককে শো-কজ করা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৬ সদস্যের এক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

পরিদর্শনে পূর্ত দফতর
জেলা পূর্ত দফতরের একটি বিশেষ দল সম্প্রতি কালনা মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শনে আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই দলের কাছে শিশু ও প্রসূতি বিভাগ সম্প্রসারণ, স্টোর রুম তৈরি, হাসপাতাল চত্বরে পাঁচিল তৈরি, নতুন ভবনে লিফটের ব্যবস্থা, জল সরবরাহে উন্নতি, মর্গের কাছে ছাউনি তৈরি-সহ ১৫ দফা কাজের জন্য আবেদন জানান। কালনার মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি বলেন, “পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ করেছেন। পরবর্তী পদক্ষেপ ওঁরাই বিবেচনা করবেন।”

মিলল ডেঙ্গির জীবাণু
বর্ষা শুরু হতেই কলকাতা পুরভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক বাসিন্দার রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলল। বিদ্যুৎ পোদ্দার নামে কসবার ওই বাসিন্দা এসএসকেএমে ভর্তি। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বিদ্যুৎবাবুর পা ফুলেছে, গাঁটেও ব্যথা রয়েছে। রক্তে আইজিজি রিপোর্ট পজিটিভ। তবে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, বিদ্যুৎবাবুর ডেঙ্গি হয়নি। তা হলে কি রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল? অতীনবাবু বলেন, “ডেঙ্গির রক্ত পরীক্ষার দু’টি অংশ। আইজিএম রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ, এখন তাঁর দেহে ডেঙ্গির জীবাণু নেই। আইজিজি রিপোর্ট পজিটিভ। অর্থাৎ, মাস তিনেক আগে ওই ব্যক্তির দেহে ডেঙ্গির জীবাণু ঢুকেছিল, কিন্তু প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য তিনি আক্রান্ত হননি।” তবে বিদ্যুৎবাবুর উপসর্গ এবং রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দিখে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, তাঁর চিকুনগুনিয়াও হতে পারে। কারণ, চিকুনগুনিয়ার ক্ষেত্রে গাঁটে ব্যথা হয় ও আইজিজি পজিটিভ হয়। আর এক বার বিদ্যুৎবাবুর রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

রোগীর মৃত্যু, তাণ্ডব
চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালাল জনতা। রবিবার দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ভক্তিনগর থানার সেবক রোডে এক নার্সিংহোমে। ক্ষুব্ধ জনতা নার্সিংহোমের একটি কাচের দরজা ভেঙে ঢুকে হামলা করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুবল চন্দ্র রায় (৩৫)। বাড়ি চম্পাসারির উত্তর পলাশবাড়িতে। তিনি চম্পাসারি অমিয়পাল স্মৃতি চৌধুরী হাই স্কুলের করণিক পদে চাকরি করতেন। ৩ জুন মোটর বাইক থেকে পড়ে যান সুবলবাবু। তাঁকে সেবক রোডের নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। এ দিন ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। চম্পাসারি থেকে কয়েকশ বাসিন্দা সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

স্বাস্থ্য শিবির
রবিবার উত্তর কাকলি সাংস্কৃতিক মঞ্চের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ির বৈকুণ্ঠপল্লিতে একটি স্বাস্থ্য শিবির হয়। শিবিরে ৮৫ জনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা ওষুধ বিতরণ করা হয়।
Previous Story Swasth First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.