|
|
|
|
মেদিনীপুর মেডিক্যাল |
শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রসূতির পরিজনকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীর বিরুদ্ধে। রবিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। প্রসূতির আত্মীয়-স্বজনরা ওয়ার্ড মাস্টারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরে শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত কর্মী অধীর সিকদারকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন প্রসূতির পরিবারের লোকজন। হাসপাতাল সুপার রামনারায়ণ মাইতি বলেন, “অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।”
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি ছিলেন পিংলা থানার চণ্ডীপুর গ্রামের কৃষ্ণা রায়। কৃষ্ণাদেবীর স্বামী বিশ্বজিৎবাবু শারীরিক প্রতিবন্ধী। দেখভাল করতে হাসপাতালে ছিলেন প্রসূতির আত্মীয়া প্রতিভা রায়। অভিযোগ, শনিবার রাতে প্রতিভাদেবীর শ্লীলতাহানি করেন অধীরবাবু। প্রতিভাদেবীর কথায়, “চতুর্থ শ্রেণির ওই কর্মী প্রথম থেকেই আমাকে অনুসরণ করছিল। রাত আড়াইটে নাগাদ জোর করে ওটি’র উল্টো দিকের ঘরে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি কোনও ভাবে বাইরে এসে চিৎকার করি।”
রাতেই চাপা উত্তেজনা ছিল। ভোর হতে উত্তেজনার পারদ আরও চড়ে। রাতে অভিযুক্ত কর্মীকে ধরে ফেলেছিলেন প্রসূতির পরিজনেরা। কিন্তু হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী সাহায্য না-করায় অধীর পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। ভোরবেলা তাঁকে ফের ধরে ফেলেন প্রসূতির পরিজনরা। শুরু হয়ে মারধর। এরপর ওয়ার্ড মাস্টারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। অভিযুক্ত কর্মীকেও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে প্রতিভাদেবীর পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে চতুর্থ শ্রেণির ওই কর্মীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। হাসপাতাল সুপার বলেন, “এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিত। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষীরা থাকে। তার পরেও এমন ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|