শিশু পাচার রোধে ‘সেল’ গড়ার প্রস্তাব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শিশু-কিশোরদের পাচার হয়ে যাওয়া আটকাতে রাজ্য সরকারের একটি ‘সেল’ তৈরি করা উচিত বলে মনে করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেল। শিশু-কিশোরদের সুবিচার সংক্রান্ত এক কর্মশালায় শনিবার জয়নারায়ণবাবু বলেন, “শিশু পাচার এ রাজ্যের বড় সমস্যা। পাচার হওয়া ছেলেমেয়েদের উদ্ধার করছে পুলিশ। ওই শিশুদের নিরাপত্তা দিতে আদালত নির্দেশও দিচ্ছে। আইনমাফিক এদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা এবং পাচার রোধে বিশেষ সেল গড়া দরকার।”
দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে শিশু-কিশোরদের সুবিচার সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ ও আইনমাফিক পরিষেবার মান বেশ খারাপ বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলতামাস কবীর। তিনি বলেন, “শিশু অধিকার সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগ অন্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে খারাপ। ২০০০ সালের জুভেনাইল জাস্টিস আইনের বিভিন্ন ধারায় শিশুদের জন্য যে সব সুযোগ সুবিধার কথা বলা রয়েছে, এ রাজ্যে সেগুলি ঠিক মতো প্রয়োগ হচ্ছে না।” শিশু-কিশোর অপরাধীদের বিচারের জন্য জেলায় জেলায় যে সব জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড আছে, সেগুলিও ঠিক মতো কাজ করে না বলে অভিযোগ আইনজীবী ও শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের। এই বোর্ডগুলি যাতে ঠিক ভাবে কাজ করে, তা দেখতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অনিন্দ্য মিত্রকে অনুরোধ করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়।
১৮ বছরের বেশি বয়সী ছেলেমেয়েদের হোমে রাখার অনুমতি নেই জুভেনাইল জাস্টিস আইনে। তাই তারা ঠিক মতো পুনর্বাসন পায় না বলে অভিযোগ করেন শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা কুণাল দে। তাঁর কথায়, “ওই বয়সের মধ্যে পড়াশোনা বা হাতেকলমে কাজ কোনওটাই পুরোপুরি শেখানো সম্ভব হয় না। তাই তারা স্বনির্ভর হতে পারে না। তাদের মূলস্রোতে ফেরানোর কাজ অসম্পূর্ণই রয়ে যায়।” |
|
মঠে ফিরলেন স্বামী আত্মস্থানন্দ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হাসপাতাল থেকে রবিবার বেলুড় মঠে ফিরলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট স্বামী আত্মস্থানন্দ। বেলুড় মঠ সূত্রের খবর, গত ৩০ মে হার্নিয়া অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁকে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১ জুন চিকিৎসক পল্লব ঘোষের নেতৃত্বে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। গত ফেব্রুয়ারিতেও প্রস্টেট অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। স্বামী আত্মস্থানন্দের সচিব স্বামী বিমলাত্মানন্দ বলেন, “হার্নিয়া অস্ত্রোপচারের পরে তাঁর মূত্রনালিতে কিছু সমস্যা দেখা যায়। তাই চিকিৎসকেরা কয়েক দিন তাঁকে হাসপাতালে রেখে দিয়েছিলেন। এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ।” এ দিন মঠে ফিরে বিভিন্ন মন্দিরে প্রণাম সেরে বাসভবনে প্রবেশ করেন স্বামী আত্মস্থানন্দ। |
|