|
|
|
|
মিলল হাতকামান, পিস্তল |
ফের অস্ত্র উদ্ধার দুই সিপিএম নেতার বাড়ি থেকে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
রাজ্যে অবৈধ অস্ত্র-উদ্ধার পর্বে ছেদ পড়ছে না।
শনিবার রাত থেকে রবিবার বিকেলের মধ্যে চার জেলা থেকে মিলেছে অবৈধ অস্ত্র। সবক’টি ক্ষেত্রেই জড়িয়েছে সিপিএমের নাম। এক সিপিএম কর্মী-সহ দু’জন গ্রেফতারও হয়েছেন।
এক কংগ্রেস কর্মীকে খুনের তদন্তে নেমে শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের দুই সিপিএম নেতার বাড়ি থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল-সহ বেশ কিছু অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার ওই এলাকায় গুলি করে খুন করা হয় তাজেল শেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে। খুনে জড়িত অভিযোগে পুলিশ সিপিএমের ইসলামপুর জোনাল কমিটির সদস্য দুলালউদ্দিন মণ্ডল এবং তাঁর জামাই, লোচনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রধান আলতাফ হোসেন-সহ ৩০ জনকে গ্রেফতার করে।
এসডিপিও (ডোমকল) সুবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুলালউদ্দিনের বাড়ি থেকে একটি হাতকামান এবং আলতাফের বাড়ি থেকে দু’টি দোনলা বন্দুক, ৭ রাউন্ড গুলি এবং একটি ৯ এমএম পিস্তল মিলেছে। ওই এলাকায় আরও তল্লাশি চলছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নারায়ণ দাসের বক্তব্য, “গ্রেফতার করার পরেই পুলিশ এক বার ওই দুই নেতার বাড়িতে তল্লাশি করেছিল। তখন কোনও অস্ত্র মেলেনি। এত দিন পরে আচমকা অস্ত্র উদ্ধার হল কী করে?” তবে এলাকার বিধায়ক কংগ্রেসের ফিরোজা বেগমের দাবি, “পুলিশ তৎপর হলে এই এলাকার সিপিএম নেতাদের কাছ থেকে আরও অস্ত্র উদ্ধার হবে।”
শনিবার রাতেই নদিয়ার গয়েশপুর পুরসভার আনন্দপল্লিতে একটি বাড়ির পাশ থেকে দু’টি প্যাকেটে পাঁচটি বোমা পাওয়া যায়। ওই বাড়িতে থাকেন এক সিপিএম কর্মী। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএমের কর্মীরাই ওই বোমা ফেলে রেখে গিয়েছেন। তবে সিপিএমের গয়েশপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক দীপক সিকদারের দাবি, “ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ যুক্ত নন।” স্থানীয় এক যুবককে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। নিষ্ক্রিয় করা হয় বোমাগুলি।
রবিবার মেদিনীপুর শহর ঘেঁষা কনকাবতী এলাকায় সিপিএমের দলীয় কার্যালয় থেকেও প্রচুর বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। দু’টি বস্তা ভর্তি বোমা মাটি চাপা দেওয়া ছিল দলীয় কার্যালয়ে পাঁচিল ঘেরা চৌহদ্দির মধ্যেই। সব মিলিয়ে ৩১টি হাত-বোমা, ৮টি পেট্রোল বোমা ও ১২০টি শব্দ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় মানুষই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। তবে সিপিএমের কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে অন্য কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি। কিছু সরকারি অঙ্ক বই ও বাচ্চাদের স্কুলের পোশাক (নীল জামা ও সাদা প্যান্ট) পাওয়া গিয়েছে। ক’দিন আগে সিপিএমের এই কার্যালয়ের কাছেই প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র মিলেছিল। পাওয়া গিয়েছিল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামও।
বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে বাঁকুড়ার ওন্দা থানার পাতলাবনি গ্রাম থেকে এ দিন বিকেলেই এক সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম বিমল লোহার। তাঁকে জেরা করে মাটি খুঁড়ে একটি ওয়ানশটার এবং ৮টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি-সহ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অস্ত্রের ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|