উইম্বলডন |
আমার ফেভারিটদের মধ্যে রাফা-রজার নেই |
জয়দীপ মুখোপাধ্যায় |
আমেরিকা থেকে কালই লন্ডন পৌঁছচ্ছি। আমার এ বারের বাজি ডকোভিচের প্রথম রাউন্ড ম্যাচের আগেই যেন উইম্বডলনে ঢুকে পড়তে পারি। তরুণ এই সার্ব এখন দুর্দান্ত আত্মবিশ্বাসী। দুর্ধর্ষ ফর্মে আছে। গত বারই তো সেমিফাইনাল খেলেছে। ঘাসের কোর্টেও ওর খেলাটা দারুণ খাপ খায়। খুব ভাল ভলি মারতে পারে। ফ্ল্যাট গ্রাউন্ডস্ট্রোকগুলো ঘাসের কোর্টের পক্ষে একেবারে আদর্শ। কোনও বার না জেতায় প্রচণ্ড খিদে নিয়েও নামছে উইম্বলডনে।
অ্যান্ডি মারে সম্পর্কেও একই কথা বলব। তিন বার ফাইনাল খেলে কখনও গ্র্যান্ড স্লাম না জেতায় ওরও উইম্বলডন জেতার এ বার প্রচণ্ড খিদে থাকবে। স্থানীয় সুপারস্টার। গোটা ব্রিটেন ওর পিছনে থাকবে। নিজের দেশের প্লেয়ার হওয়ায় ওর সব ম্যাচ সেন্টার কোর্টে পড়বে। ফলে একটাই কোর্টে খেলার, একই ধরনের বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বাড়তি সুবিধে থাকছে মারের সঙ্গে। সঙ্গে প্রতিটা ম্যাচেই গ্যালারির পুরো সমর্থন পাবে। |
|
রবিবার শারাপোভার প্র্যাক্টিসের ছবি এপির |
রাফায়েল নাদাল আর রজার ফেডেরারউইম্বলডনের দুই মহারথী এ বার আমার ফেভারিটের তালিকায় তিন আর চারে। নাদালের সম্ভাব্য কোয়ার্টার ফাইনাল বার্ডিচের সঙ্গে। যার কাছে আগের বার ফেডেরার পর্যন্ত হেরেছে। সেমিফাইনাল খেলতে হবে মারের সঙ্গে। যতই নাদাল এক নম্বর হোক, যতই দু’বার উইম্বলডন জিতুক, একটু গড়বড়ে গোড়ালি নিয়ে ঘাসের কোর্টে ওর স্বভাসিদ্ধ দাপট দেখাতে সমস্যা হতেই পারে। আর ফেডেরার রোলাঁ গারোতে জীবনের সেরা টেনিস খেলে ডকোভিচকে সেমিফাইনালে হারালেও সেই ফেডেরার আর নেই।
মেয়েদের সিঙ্গলসে উইলিয়ামস বোনেরা এসে পড়ায় ওদের নিয়ে বাকিদের ভাবতেই হবে। শীর্ষ বাছাই ওজনিয়াকি ঠিকই বলেছে, শেষ ১১ বারে মধ্যে ৯ বার উইম্বলডন জিতেছে কোনও একটা উইলিয়ামস। সেরেনা আর ভেনাসের সঙ্গে খেলতে হলে বাকি মেয়েরা ভয় পায়। আমারও মনে হচ্ছে, বহু দিন পরে সার্কিটে ফিরলেও সেরেনা বা ভেনাস একবার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলে উইম্বলডনে ওদের হারানো মুশকিল। শারাপোভা আর লি না ডার্ক হর্স। কিন্তু ওদের কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা হয়ে যাচ্ছে। মানে এক জনকে ওখানেই বিদায় নিতে হবে।
ভারতীয় চ্যালেঞ্জ মানেই তো ডাবলস। লি-হেশ, বোপান্না-কুরেশি আর সানিয়া-ভেসনিনা পুরুষ-মহিলা মিলিয়ে তিনটে জুটির মধ্যে আমার মতে সেরা সুযোগ বোপান্নাদের। হ্যাল গ্রাস কোর্ট জিতে উইম্বলডনে নামছে। আত্মবিশ্বাস, ফর্ম, তারুণ্য তিনটেই ওদের দিকে। লি-হেশ অবশ্য পুরনো মদের মতো। কুইন্স ক্লাবেও দুর্দান্ত খেলেছে। কিন্তু দীর্ঘ দু’সপ্তাহের গ্র্যান্ড স্লামে ওদের বেশি বয়স (৩৮ ও ৩৭) ক্লান্ত করে দিতে পারে। ফরাসি ওপেন ফাইনালিস্ট সানিয়াদের জুটি ঘাসের কোর্টে দারুণ করলে অবাক হব না।
|
এক নজরে প্রথম দিন |
• বরাবরের মতো আগের বারের পুরুষ চ্যাম্পিয়ন সেন্টার কোর্টে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবেন। নাদালের সামনে বিশ্বের ৯১ নম্বর রাসেল।
• তার এক ঘণ্টা আগে লন্ডনের সময় দুপুর বারোটায় উইম্বলডন শুরু হবে দু’নম্বর কোর্টে ভেনাস উইলিয়ামসের ম্যাচ দিয়ে।
• কোনও ভারতীয়ের ম্যাচ নেই।
• বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। তবে সেন্টার কোর্টের মাথায় ‘রিভল্ভিং’ ছাদ থাকায় নাদাল, অ্যান্ডি মারেদের ম্যাচগুলো হবেই। |
|
|