|
|
|
|
আক্রান্ত পুলিশ |
সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ চন্দ্রকোনায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
ঘরছাড়া এক সিপিএম নেতার বাড়ি ফেরাকে কেন্দ্র করে রবিবার সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ বাধল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীও খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। আইআরবি’র দুই জওয়ান ও জনা দশেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক জখম হন। দুই জওয়ান-সহ মোট ছ’জনকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আর গোলমাল পাকানোর অভিযোগে ওই সিপিএম নেতা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি বলেন, ‘‘সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে দুই পুলিশকর্মী জখম হন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।”
চন্দ্রকোনা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ন্তীপুরে বাড়ি সিপিএমের চন্দ্রকোনা শহর লোকাল কমিটির সদস্য মণিশঙ্কর চক্রবর্তীর। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই তিনি এলাকাছাড়া ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই সিপিএম নেতা ফিরেছেন জানতে পেরে এ দিন দুপুরে আশপাশের এলাকায় ‘তল্লাশি’ শুরু করে তৃণমূলের লোকজন। বাড়ি বাড়ি ঢুকে মণিশঙ্করবাবুর খোঁজ করছিল তারা। সাঁতরাপাড়ায় কিছু সিপিএম সমর্থক তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয় তৃণমূল কউন্সিলর অরূপ ধাড়ার অভিযোগ, “মণিশঙ্করবাবুর ভয়ে গোটা জয়ন্তীপুর সন্ত্রস্ত হয়ে থাকত।” একই বক্তব্য ব্লক তৃণমূল সভাপতি অমিতাভ কুশারীর। তাঁর কথায়, “চন্দ্রকোনা শহরে সন্ত্রাস ছড়ানোর পিছনে ওই সিপিএম নেতার প্রত্যক্ষ মদত ছিল। আমাদের দলীয় সদস্যদের মারধর, জরিমানা আদায় সবই করেছেন উনি। ওই নেতা যাতে পালাতে না পারেন, তাই এ দিন এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছিল। সিপিএমের সশস্ত্র লোকজন তখনই আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালায়।”
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের দিন সাতেক আগে মণিশঙ্করবাবু অস্ত্র নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে তৃণমূলের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল। সিপিএম সব অভিযোগই নস্যাৎ করে দিয়েছে। দলের চন্দ্রকোনা জোনাল কমিটির সম্পাদক গুরুপদ দত্তের পাল্টা অভিযোগ, “এ দিন এলাকায় ঢুকে তৃণমূলের লোকজন তাণ্ডব করছিল। তখন গ্রামবাসীরাই বাধা দেন।” পুলিশ অবশ্য এ দিনের সংঘর্ষে মদত দেওয়ার অভিযোগে মণিশঙ্করবাবু ও সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক স্বপন রায়কে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহল চলছে। |
|
|
|
|
|