টুকরো খবর

ফের জমি দখলের চেষ্টা অরবিন্দনগরে
জবরদখলের প্রতিবাদে ফের আন্দোলন শুরু করলেন মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দনগরের বাসিন্দারা। অরবিন্দনগরের মাঠ দখলমুক্ত করার দাবিতে রবিবার সকাল থেকেই জজকোর্টের কাছে পথ অবরোধ শুরু হয়। পরে মহকুমাশাসক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। অভিযোগ, প্রশাসন লাঠি দেখিয়ে, লাঠিচার্জের হুমকি দিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। কিন্তু বেআইনি দখলমুক্ত করার কোনও আশ্বাস দিতে পারেনি। স্থানীয় কার্তিক ধর বলেন, “খেলার মাঠ কিছুতেই দখল হতে দেব না। প্রশাসন যা-ই করুক আন্দোলন থেকে সরব না।” মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক সুরজিৎ রায়ের অবশ্য বক্তব্য, “রবিবার যাঁরা বেআইনি ভাবে জমি দখলের চেষ্টা করছিল, তাদের হঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা আগে থেকেই রয়েছে, তাদের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” অরবিন্দনগরের মাঠ দখল নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই চাপানউতোর চলছে। ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতৃত্বেই প্রায় ৯০ জন ওই মাঠের কিছুটা জমি দখল করে বাঁশ-বেড়া দিয়ে বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন। নাম দেওয়া হয় নেতাজি নগর। গরিব মানুষের জন্যই এই জবরদখল বলে সওয়াল করেন ফব নেতা সুকুমার ভুঁইয়া। কিন্তু অরবিন্দনগরের বাসিন্দারা এর বিরুদ্ধে। রবিবার কিছু মানুষ বাঁশ পুঁতে জমি দখল করলে স্থানীয়রাই প্রতিবাদ জানান। শুরু হয় অবরোধ।

নিখোঁজ দুই যুবতী উদ্ধার
ইলাহাবাদ থেকে নিখোঁজ দুই যুবতীর খোঁজ মিলল খড়্গপুর রেলস্টেশনে। তাঁদের উদ্ধার করে পরিজনের কাছে পৌঁছে দিল খড়গপুর রেলপুলিশ। নাদিয়া ও রুবি নামে ওই দুই তরুণীর বাড়ি ইলাহাবাদে। শনিবার খড়গপুর স্টেশন থেকেই তাঁদের উদ্ধার করা হয়। রবিবার দুই যুবতীর পরিজনেরা রেলশহরে আসেন। রেলপুলিশ সূত্রের খবর, ক’দিন আগে রুবি ও নাদিয়া স্কুলে যাচ্ছিলেন সার্টিফিকেট আনতে। পথে তাঁদের অপহরণের চেষ্টা করে কয়েকজন যুবক। কিন্তু দুই যুবতীর চিৎকারে শেষমেশ তারা পালায়। রুবি ও নাদিয়া নিকটবর্তী এক স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠে পড়েন। তারপর বাড়ি ফেরার জন্য তাঁরা রেলপুলিশের দ্বারস্থ হন। রেলপুলিশ তাঁদের খড়্গপুর স্টেশনে নেমে পড়তে বলে। সেই মতো শনিবার খড়গপুরে নামেন ওই দুই যুবতী। রেলপুলিশই খবর দেয় দু’জনের বাড়িতে।

ত্রিপল কম, ক্ষোভ শহরে
ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে আশঙ্কা কাটছে না। এখনও মেদিনীপুর-খড়গপুরের কয়েকটি নীচু এলাকা জলমগ্ন। ত্রিপল-সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মেদিনীপুরে পালবাড়ির একাংশ এখনও জলমগ্ন। কাঁসাইয়ের জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুশান্ত পণ্ডিতের বাড়ি। তিনি বলেন, “জানি না ফের নদীতে জল বাড়লে কী হবে। এখন তো মাথা গোঁজার ঠাঁইও নেই।” ক্ষতিগ্রস্থ সকলকে ত্রিপল দেওয়া যায়নি বলে মানছেন কাউন্সিলর সুনন্দা খান। তাঁর কথায়, “মাত্র ১৫টি ত্রিপল পেয়েছি।” নতুন করে বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা দুই পুরসভারই। মেদিনীপুর শহরের গা-ঘেঁষে কাঁসাই। নদীতে জল বাড়লেই বহু এলাকা জলমগ্ন হয়। সামান্য বৃষ্টিতে জল জমে খড়গপুরের নীচু এলাকাতেও। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে রেলশহরের বেশ কয়েকটি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান পুরপ্রধান জহরলাল পাল। পর্যাপ্ত ত্রিপল নেই জানিয়ে পুরপ্রধান বলেন, “৪০০ ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে আরও ত্রিপল চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।” মেদিনীপুরেও কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “প্রশাসনের থেকে ৩০০ ত্রিপল পেয়েছি। পুরসভা আরও ৫০০ ত্রিপল কিনেছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চলছে। সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।”

আক্রান্ত বিএলও
ভোটার তালিকার কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদরায়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো ভোটারদের ফোন নম্বর নথিভুক্ত করছিলেন বিএলও গোপালচন্দ্র দাস। তিনি বলেন, “আচমকাই এক যুবক লাঠি দিয়ে মাথায় মারে।” দে পাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র তাঁর চিকিৎসা হয়। ঘটনার কথা লিখিত ভাবে বিডিও’কে জানিয়েছেন তিনি। বিডিও অয়ন নাথ বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। পুলিশকেও জানানো হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কোথায় কী
বুধবার

রক্তদান: মেদিনীপুরের সানডে ক্লাবের উদ্যোগে রক্তদান শিবির। কুইকোটায়। শুরু সকাল ৮টায়।

হয়েছে

মেদিনীপুরের সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘নীলাম্বর’ আয়োজিত রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হল গত শনিবার।
রবীন্দ্র নিলয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও রবীন্দ্র রচনা অভিধান প্রণয়নের জন্য অনুত্তোম ভট্টাচার্যকে ও শহরের
তরুণ কবি নির্মাল্য মুখোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পাঠ করা হয় শ্রুতিনাটক ‘একরাত্রি’।
Previous Story Medinipur First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.