শান্তিশৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য পুলিশের উদ্যোগে রবিবার সর্বদল বৈঠক হল আরামবাগে। মহকুমাশাসকের দফতরে ওই বৈঠকে সিপিএমের পক্ষে ছিলেন সিপিএম নেতা বিনয় দত্ত এবং দলের জোনাল কমিটির সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন। তৃণমূলের পক্ষে ছিলেন আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা ও দলের তরফে আরামবাগ মহকুমার দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক তপন মজুমদার।
বিনয়বাবু এসডিপিও রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের হাতে তাঁদের দলের শ’দুয়েক ‘ঘরছাড়া’ সমর্থকের নামের তালিকা তুলে দেন। এ ছাড়া, সিপিএম সমর্থক ৬ শিক্ষকের নামের তালিকাও দেওয়া হয়। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের হামলার ভয়ে ওই শিক্ষকেরা স্কুলে ঢুকতে পারছেন না। এসডিপিও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। একই ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তপনবাবুও। তিনি জানান, দলের বা দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অন্যায় করলে পুলিশ-প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিক। দল কোনও অন্যায় বরদাস্ত করবে না। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা তা কতটা মানবেন, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মোজাম্মেল হোসেন। গোঘাটেও পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছিল। গোঘাট-১ ব্লক অফিসে ওই বৈঠকে সিপিএমের পক্ষে কেউ হাজির ছিলেন না। তবে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা তথা গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে না যাওয়ার কারণ হিসাবে সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ পাত্র বলেন, “বৈঠকে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। এখানে আমরা কোনও প্ররোচনা ছাড়াই তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছি।” বিশ্বনাথবাবু অভিযোগ করেন, সিপিএম সমর্থক বর্গাদারদের উচ্ছেদ করে তৃণমূল জমির দখল নিচ্ছে। এখানেও বেশ কয়েক জন সিপিএম সমর্থক শিক্ষক স্কুলে আসতে পারছেন না। বিডিও বলেন, “জমি নিয়ে বিবাদে ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক তদন্ত করে যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সব পক্ষকে মানতে হবে। শিক্ষকদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে।” |