|
|
|
|
হাফলংয়ে কিশোরদের ব্যবহার করে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে জঙ্গিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
নিজেরা আড়ালে থেকে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটাতে কিশোরদের ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। হাফলংয়ে পর পর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটার পর তদন্তে নেমে এই তথ্য জেনেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, অল্পবয়সী কিশোরদের হাজার-দেড় হাজার টাকা দিয়ে নাশকতামূলক এই ধরনের কাজ করাচ্ছে জঙ্গিরা।
এএসপি সুরজিৎ সিংহ পানিসর জানান, একটি বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার হাফলং পুলিশ তিন কিশোর শম্ভুরাজ ফংলো (১৯), দেবজিৎ নাইডিং (১৭) ও রাতুল সেঙ্গুইং (১৫) নামে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। সব ক’টি বিস্ফোরণের দায় না নিলেও এক ঠিকাদারের বাড়িতে গ্রেনেড ছোড়ার কথা কবুল করে তারা জানায়, অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা তাদের দেড় হাজার টাকা করে দিয়ে এই কাজে নিয়োগ করে।
চলতি বছরে প্রথম চার মাসে হাফলংয়ের জেলা সদরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। কোনও দিন স্বশাসিত পরিষদের কর্মকর্তার বাড়িতে, কোনও দিন বাজার ঘেঁষা পেট্রোল পাম্পে, কোনও দিন শহরের নামী ঠিকাদারের বাড়িতে গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। তিন মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ নিশ্চিত, জঙ্গিরা কৌশল বদলে নিজেরা অপকর্ম না ঘটিয়ে কাজে লাগাচ্ছে দরিদ্র ঘরের অল্পবয়স্ক ছেলেদের। তাদের হাতে কিছু টাকা দিয়ে তারা কাজ হাসিল করে নিচ্ছে। পুলিশকর্তা পানিসরের অনুমান, ধৃত তিন কিশোর ছাড়াও বিস্ফোরণ ঘটাতে আরও কিছু ছেলেকে রেখেছে জঙ্গিরা। এ বার তাদেরও গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে আশা পানিসারের। তবে কোন জঙ্গি সংগঠন এ কাজ করাচ্ছে সে সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। উল্লেখ্য, পাহাড়ি এই অঞ্চলে সক্রিয় ডিমাসা দু’টি গোষ্ঠীর জঙ্গি সংগঠনই।
শম্ভুরাজকে বিচারক তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। দেবজিৎ ও রাতুলকে জুভেনাইল আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|