|
|
|
|
অসমে ফাঁসি দিতে ফাঁসুড়ে আসছেন উত্তরপ্রদেশ থেকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
রাজ্যে মিলল না ফাঁসুড়ে। তাই, ২১ বছরের ব্যবধানে, ফের অসমে ফাঁসি দিতে আসছেন উত্তরপ্রদেশের ফাঁসুড়ে বাবু আহমেদ। তবে, হাইকোর্টের আদেশে খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মহেন্দ্রনাথ দাসের ফাঁসি ২১ জুলাই অবধি স্থগিত হয়ে গিয়েছে।
১৯৯৬ সালের ২৪ এপ্রিল গুয়াহাটির ফ্যান্সিবাজারে হাত-মাথা কেটে হরকান্ত দাসকে হত্যা করেন মহেন্দ্রনাথ। কাটা মাথা-সহ থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে কামরূপ দায়রা আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে রায় বহাল থাকে। ২০০৩ সালে, রাষ্ট্রপতির কাছে, ছেলের প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন মা কুসুমবালা দেবী। শেষ অবধি গত ২৭ মে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
কিন্তু ফাঁসুড়ে না মেলায় ঝুলে ছিল ফাঁসি। যোরহাট কারাগারে আছেন মহেন্দ্রবাবু। প্রাণভিক্ষার আবেদনে সাড়া দিতে কেন এত দেরি হল তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করে মহেন্দ্রনাথের পরিবার। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই ৭ জুন গৌহাটি হাইকোর্ট রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে জানতে চায়, কেন মহেন্দ্রনাথের প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাষ্ট্রপতি এত বছর সময় নিয়েছেন? ১৭ জুনের মধ্যে উত্তর চেয়েছিল আদালত। দিসপুরের তরফে গত কাল জবাবি এফিডেভিট পাঠানো হলেও কেন্দ্র তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছে। ৪ থেকে ১৪ জুন আদালত বন্ধ। তাই ২১ জুন পরবর্তী শুনানি হবে।
এ দিকে, স্থগিতাদেশ জারির আগেই, ফাঁসুড়ে লখনউয়ের বাবু আহমেদের সন্ধানে অসমের প্রতিনিধিরা উত্তরপ্রদেশে হাজির। এর আগে, ১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালে যোরহাট জেলে দুইজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। সে বারেও রাজ্যে ফাঁসুড়ে না পেয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের দ্বারস্থ হয় অসম। তখন বাবু আহমেদকে পাঠানো হয়। ১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর শিশুহত্যাকারী হেনরি ডব্লিউ রবার্টস ও ১৯৯০ সালের ২৭ জুলাই বহু হত্যায় অভিযুক্ত কানপাই বুঢ়াগোহাইকে বাবু আহমেদই ফাঁসি দেন। তদানীন্তন জেলার বাণীকান্ত বরুয়া জানান, উত্তরপ্রদেশ, বিহারে বংশানুক্রমে এই কাজ করা হয়। ১৯৯০ সালে বাবু আহমেদ বলেছিলেন, আর ফাঁসি দেবেন না। পরের প্রজন্মকেও এই পথে নামাবেন না। কিন্তু, সব ঠিকঠাক চললে, ২১ বছর পরে মহেন্দ্রনাথের ফাঁসি দিতেও বাবু আহমেদই যোরহাট কারাগারে আসছেন। |
|
|
|
|
|