নিতিন গডকড়ী নেমে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই ভেঙে পড়ল বিজেপি সভাপতির জন্য ভাড়া করা একটি কপ্টার। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন হেলিকপ্টারের চালক ও এক ইঞ্জিনিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে দেরাদুনের কাছে লাদপুরের জঙ্গলে। চারধাম যাত্রার জন্য সপরিবার উত্তরাখণ্ডে এসেছেন গডকড়ী। তাঁদের জন্য তিনটি হেলিকপ্টার ভাড়া করেছে রাজ্য সরকার। আজ দুপুর একটা নাগাদ দেরাদুনের জলি গ্রান্ট বিমানবন্দরে নামেন গডকড়ী পরিবার। তার ঘণ্টা খানেক পরে সহস্ত্রধারা হেলিপ্যাডের উদ্দেশে রওনা হয় কপ্টার তিনটি। কিন্তু ওড়ার একটু পরেই লাদপুরের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে একটি কপ্টার। চালক ছাড়াও একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন কপ্টারে। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে তাঁদের কোরোনেশন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। দেরাদুনের এসএসপি জি এস মার্তোলিয়া জানিয়েছেন, আবহাওয়া ভাল ছিল। ফলে অনুমান করা হচ্ছে, কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই এই দুর্ঘটনা। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। |
সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে-র খুনের ঘটনায় এ বার মুম্বই পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অনিল মহাবোলেকে জেরা করল অপরাধ দমন শাখা। ছ’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা জিজ্ঞাসাবাদে জ্যোতির্ময়ের সঙ্গে তাঁর ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের কথা বলেন অনিল। তবে জানান, জ্যোতির্ময়ের সঙ্গে তাঁর শেষ দেখা হয়েছিল বছর দু’য়েক আগে। ওই বাঙালি সাংবাদিক খুনের ঘটনায় তিনি কোনও ভাবেই জড়িত নন বলে দাবি করেছেন অনিল। জ্যোতির্ময়ের ঘনিষ্ঠদের একাংশের দাবি, ‘ডি-কোম্পানি’র সঙ্গে মহাবোলের যোগাযোগের ব্যাপারে বেশ কিছু প্রমাণ হাতে পেয়েছিলেন ‘মিড ডে’র সাংবাদিকটি। এবং সেই প্রমাণ পুলিশ কমিশনারের কাছে জমা দিয়ে তিনি একটা বড় ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছিলেন। সম্প্রতি মহাবোলেকে আজাদ ময়দান বিভাগের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে স্থানীয় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগে বদলি করা হয়েছে। |
বিহারে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে আমেরিকার একটি প্রতিনিধি দল এ রাজ্যে আসতে পারে। এক দিনের সফরে পটনায় এসে এ কথা জানিয়ে গেলেন মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রবার্ট ব্লেক। এক দিনের সফরে এসে ব্লেক বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী এবং বিরোধী দলনেতা আব্দুল বারি সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি বিহারের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, “গত কয়েক বছরে বিহার সরকার অপরাধ এবং দুর্নীতি দমনে যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে।” বিহারের বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করে ব্লেক বলেন, “বিহারে সম্ভাবনা প্রচুর। আমি দেশে ফেরত যাওয়ার পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তবে বিহারে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পরিবার কল্যাণ, পরিকাঠামো এবং কৃষিতে বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।” একই সঙ্গে ব্লেক জানান, দেশে ফিরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনার পরেই আমেরিকার বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে, ঠিক কোন সময়ে বিহারে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে মার্কিন প্রতিনিধি দল এ রাজ্যে আসবে। তবে চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুর মধ্যেই যে ওই প্রতিনিধি দল বিহারে আসবে, তা-ও জানিয়ে দেন ব্লেক। |
বিহারের খগড়িয়া জেলা থেকে কাল রাতে ধরা পড়ল এক মাওবাদী জোনাল কম্যান্ডার কামেশ্বর যাদব ওরফে সুভাষ। রাজ্য পুলিশের এডিজি (সদর) রাজ্যবর্ধন শর্মা জানিয়েছেন, খগড়িয়া জেলা পুলিশ এবং এসটিএফের যৌথ অভিযানে কামেশ্বর ধরা পড়ে। তার সঙ্গে ধরা পড়েছে সন্দীপ যাদব নামে আরও এক জঙ্গি। তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, ২৪টি তাজা কার্তুজ, দু’টি মোবাইল, দু’টি ডায়েরি এবং ২৬ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। উল্লেখ্য, পরশু রাতে ঔরঙ্গাবাদের রফিগঞ্জ এলাকা থেকে পুনম যাদব নামে এক মাওবাদী নেতা ধরা পড়ে। ২০০২ সালের জেলা বন-কর্তা সঞ্জয় সিংহ হত্যা মামলায় বহু দিন ধরেই পুনমকে সিবিআই খুঁজছে। শুক্রবার রাতে রফিগঞ্জে একটি পশুমেলায় এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে পুনম। |
পুলিশ ব্যারাক থেকে অস্ত্র নিয়ে ফেরার, মেঘালয় পুলিশের কনস্টেবল স্যাভিও মারাক এখন গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (জিএনএলএ)-র পশ্চিম গারো হিল এরিয়া কম্যান্ডার। বিদ্রোহী ডিএসপি চ্যাম্পিয়ন সাংমা জঙ্গি সংগঠন জিএনএলএ-র প্রধান। ঊর্ধতনের পথেই হাঁটলেন স্যাভিও। ফেব্রুয়ারি মাসে, গারো ও রাভা সংঘর্ষ চলাকালীন শিবির থেকে দু’টি ইনস্যাস রাইফেল-সহ তিনি নিখোঁজ হন। এ বার সাংবাদিকদের বিবৃতি পাঠিয়ে স্যাভিও নিজেই জানান, চ্যাম্পিয়ন তাঁকে পশ্চিম খাসি হিলের দায়িত্ব দিয়েছেন। এই এলাকায় এনএসসিএন, এনডিএফবি ও আলফার যুদ্ধপন্থী গোষ্ঠী ও এইচএনএলসি সংগঠনের ঘাঁটি রয়েছে। |
জাল টাকা নিয়ে উত্তরপ্রদেশে ধরা পড়লেন তুরস্কের দুই নাগরিক। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা জাল টাকার পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় ১ কোটি ৫৪ লক্ষ। এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে জাল ডলারও পান শুল্ক দফতরের কর্তারা। তুরস্ক থেকে তারা বাসে করে ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান হয়ে অবশেষে বাংলাদেশে পৌঁছয় বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশ থেকেই তারা ওই টাকা জোগাড় করেছে। এই ঘটনায় পাকিস্তানে বসবাসকারী দাউদ-ঘনিষ্ঠ ভারতীয় ইকবাল কানার যোগ রয়েছে বলে মনে করছে শুল্ক দফতর। ভারতে জাল টাকার যে বিভিন্ন চক্র কাজ করছে ইকবাল তার মূল পাণ্ডা। স্বরাষ্ট্র দফতর বিষয়টিকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা(এনআইএ)-র কাছে পাঠিয়েছে। |