|
|
|
|
সরছেন অনিতা, বিধাননগরে সম্ভাব্য চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন পদ থেকে আজ, সোমবার পদত্যাগ করতে চলেছেন অনিতা মণ্ডল। তাঁর বদলে নতুন চেয়ারপার্সন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমানে ওই পুরসভার চেয়ারপার্সন পারিষদ কৃষ্ণা চক্রবর্তী। যিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই তৃণমূলের একাংশে পরিচিত। ওই অংশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ইস্তফা দিতে হচ্ছে অনিতাদেবীকে।
বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন পদে রদবদল নিয়ে তৃণমূলের তরফে রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। অনিতাদেবী জানান, ‘পারিবারিক কারণে’ তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর জন্য দলের কাছে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, পুরসভা পরিচালনা নিয়ে অনিতাদেবীর ভূমিকায় কয়েক মাস ধরেই ‘অসন্তুষ্ট’ দলীয় নেতৃত্বের একাংশ। তাঁকে সরিয়ে চেয়ারপার্সন পদে কৃষ্ণাদেবীকে বসানো নিয়ে দীর্ঘদিন ভাবনাচিন্তা চলছিল দলের অন্দরে। তবে বিধানসভা নির্বাচন এসে পড়ায় এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। অনিতাদেবীর বক্তব্য, “সোমবার মহকুমাশাসকের কাছে পদত্যাগপত্র দেব। আমার ছেলে বাইরে একা থাকে। তার সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারছিলাম না। পারিবারিক কারণেই আমি সরতে চাইছিলাম। অন্য কারণ নেই।” তবে দলীয় সূত্রে খবর, সোমবারের মধ্যেই তাঁকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য দলীয় স্তরে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মমতার রাজনৈতিক জীবনের গোড়া থেকেই কৃষ্ণাদেবী তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে অ-বাম রাজনীতিতে পরিচিত। এ ছাড়া, বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন পদটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তাই কৃষ্ণাদেবীই যে চেয়ারপার্সন হচ্ছেন, তা নিয়ে কিছু দিন ধরেই দলীয় স্তরে চর্চা হয়েছে। কৃষ্ণাদেবী এ নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করে শুধু বলেন, “দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আমি দলের কর্মী। দল যে দায়িত্বই দিক, আমি তা যথাসাধ্য পালন করব।”
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৭ জুন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন হন অনিতাদেবী। পশ্চিমবঙ্গ পুর নির্বাচন আইন (ধারা-২৯ ও উপধারা-৪) অনুযায়ী, এলাকা পুনর্বিন্যাসের পরে পুর নির্বাচন হলে কোনও বোর্ডের ন্যূনতম ৫০% কাউন্সিলর যদি মহিলা হন, তবে ওই বোর্ডের চেয়ারপার্সন মহিলা হবেন। তাই অনিতাদেবী চেয়ারপার্সন হন। কৃষ্ণাদেবী বর্তমানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রসূতি-সহ বেশ কিছু দফতরের চেয়ারপার্সন পারিষদ। তিনি চেয়ারপার্সন হলে চেয়ারপার্সন পারিষদের পদটি ফাঁকা হবে। পদটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত না হওয়ায় পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে এই পদের একাধিক দাবিদার দলে রয়েছেন। |
|
|
|
|
|