টুকরো খবর
ভেঙে দেওয়া বন সুরক্ষা কমিটির পুনর্গঠন না-করে অরণ্য রক্ষার দায়িত্ব বন অধিকার কমিটির হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানাল বনজন শ্রমজীবী মঞ্চ। এই ব্যাপারে ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের আইন প্রয়োগের দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন মঞ্চের সদস্যরা। মঞ্চের অভিযোগ, ওই কেন্দ্রীয় আইন চালু করা হলে বনের অধিকার বনকর্তাদের হাত থেকে বাসিন্দাদের হাতে চলে যাবে এ আশঙ্কায় বামেরা বাধা দিচ্ছিল। সম্প্রতি বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন সমস্ত বন সুরক্ষা কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করায় বনজন শ্রমজীবী মঞ্চ আশার আলো দেখছে। মঞ্চের উত্তরবঙ্গের নেতা শঙ্কর ছেত্রী বলেন, “নয়া আইন ঘোষণা হওয়ার পরে বন সুরক্ষা কমিটির কোনও গুরুত্ব নেই। আগের সরকার জোর করে বন সুরক্ষা কমিটি জিইয়ে রেখেছিল। নয়া সরকার যাতে ১৫ জন সদস্য বাছাই করে বন অধিকার কমিটি করে সেই দাবি জানাচ্ছি।” বনের মানুষের অধিকার-সহ নানা বিষয় খতিয়ে দেখতে আগামী মাসে উত্তরবঙ্গে আসছেন অনগ্রসর কল্যাণ মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গকে আমি হাতের তালুর মতো চিনি। মানুষের সমস্যার কথাও জানি। উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য কী করা প্রয়োজন সেটা দেখতে যাব।” নাগরিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক নব দত্ত বলেন, “বনের অধিকার বনবস্তির বাসিন্দাদের দেওয়া হলে বনকর্তাদের মৌরসীপাট্টা খর্ব হবে। বনবাসী মানুষের অধিকার নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। নতুন সরকারের বন সুরক্ষা কমিটির ভাঙার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও যাব। আমাদের আশা, নয়া সরকার বনের অধিকার আইন এই রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করবেন।”

৩ বছর ধরে ৩৬টি প্রশাসনিক বৈঠক এবং ৬টি সচিব পর্যায়ের বৈঠকেও অধিকাংশ দাবি-পূরণ না-হওয়ায় হতাশ অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ডুয়ার্স-তরাই শাখার। উপরন্তু ডুয়ার্সে আদিবাসী আদিবাসী এলাকায় ষষ্ঠ তফসিল নিয়ে পরিষদের দাবিকে আমল না দিয়ে পাহাড় সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় ডুর্য়াস-তরাইয়ের কিছু এলাকা হিল কাউন্সিলের আওতায় আনা যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ তরাই-ডুয়ার্সের আদিবাসীরা। নতুন সরকার গঠনের পরে তাঁরা সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছেন। এখনও মহাকরণ থেকে কোনও স্পষ্ট বার্তা না-পেলেও আশায় রয়েছেন পরিষদ নেতৃত্ব। পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড় নিয়ে রাজ্য সরকার-মোর্চার চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও সংগঠনের সঙ্গে যৌথ ভাবে আন্দোলন যাওয়া নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। ২০০৮ সাল থেকে আদিবাসী পরিষদের তরফে একের পর এক যে দাবিসনদ সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে, শিক্ষা সংক্রান্ত কয়েকটি দাবি ছাড়া তার কোনওটিই রূপায়ণ হয়নি বলে অভিযোগ। জলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পরিষদের প্রতিটি দাবি রাজ্য কে জানানো হয়েছে। চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ২৫০ টাকা ধার্য করা পরিষদের অন্যতম দাবি। প্রশাসনিক এবং সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পরে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চা মজুরি চুক্তির সময়ে সেই দাবি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আদিবাসী জমিতে পাট্টা দেওয়ার কাজ অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ। শিক্ষা সংক্রান্ত দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের বেশ কিছু উদ্যোগে পরিষদ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

পাহাড় সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন জিএনএলএফ সুপ্রিমো সুবাস ঘিসিং। জলপাইগুড়ির অরবিন্দনগরের বাড়িতে বসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন তিনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে সংগঠন সূত্রের খবর। দিন কয়েকের মধ্যে তিনি দিল্লিও যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং মোর্চা নোতদের চুক্তির পরে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের এক পদস্থ সচিবের সঙ্গে তাঁর বারদুয়েক কথা হয়েছে। ঘিসিঙের এক অনুগামী জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তিনি ‘দূত’ মারফত যোগাযোগ করবেন। রাজ্য ও মোর্চার চুক্তির প্রতিলিপি সরকারি ভাবে জোগাড়ের ব্যবস্থা করছেন সুবাস ঘিসিং। বছরখানেক আগেই কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে জিএনএলএফ প্রতিনিধিদের রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন ঘিসিং। বর্তমানে তিনি রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে বোঝাতে চাইছেন মোর্চা নেতারা যে চুক্তি মেনে নিয়েছেন তা আসলে তাঁর আমলেরই সমাধান সূত্র। জলপাইগুড়ির অরবিন্দনগরের বাড়িতেই ঘনিষ্ঠ কিছু জিএনএলএফ নেতার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই মধ্যে বৈঠক করছেন ঘিসিং।জিএনএলএফ সূত্রের খবর, মোর্চার যে পথে সমাধানের কথা বলছে রূপায়িত হলে তা বড় সাফল্য বলে নেতারা দাবি করবেন, সে ক্ষেত্রে ঘিসিঙের পাহাড়ে পা রাখা সম্ভব নাও হতে পারে। তা মাথায় রেখেই এখন এগোতে চান ঘিসিং।

ছাগলের টোপ দিয়ে ছয় দিন ধরে খাঁচা পেতেও বনদফতর পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘটিকে ধরতে না পারায় ডুয়ার্সের শিবকাটা এবং শ্রীনাথপুর চা বাগানের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। এক মাস ধরে চিতাবাঘটি অন্তত ২০ টি ছাগল, বাছুর এবং খরগোশ খেয়েছে বলে বাসিন্দারা দাবি করেছেন। গত শনিবার রাতে বিনয় ওঁরায়ের বাড়ি থেকে একটি ছাগল নিয়ে গিয়েছে চিতাবাঘটি। গত মঙ্গলবার গ্রামবাসীরা শেষবারের মতো চিতাবাঘটিকে দেখেছিলেন। সন্ধ্যায় চিতাবাঘটি উত্তর শিবকাটা গ্রামের বিরসু ওঁরাও একটি ছাগল তুলে নিয়ে চা বাগানে বসে খাচ্ছিল। তা দেখে গ্রামবাসীরা ভিড় করতেই চিতাবাঘটি জঙ্গলে পালায়। এর পরেই চিতাবাঘ ধরতে খাঁচা পাতে বনদফতর। বাসিন্দাদের অভিযোগ, খাঁচা পেতেই দায় সেরেছে বন দফতর। পূর্ব রাজাভাতখাওয়ার রেঞ্জার ভবেন বসুমাতা বলেন, “চিতাবাঘ ধরতে চেষ্টা করছি।”

গজলডোবার বাসিন্দা কাঠের কাজের শিল্পী দুঃস্থ নিশি ঘরামিকে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন মহকুমাশাসক। ১৭ মে আনন্দবাজার পত্রিকায় দুঃস্থ ওই শিল্পীর হাতের কাজ, আসবাব এবং মূর্তি তৈরির খবর প্রকাশিত হয়। তা দেখেই গত বুধবার মালবাজারের মহকুমাশাসক দেবযানী ভট্টাচার্য মালবাজারের বিডিও প্রেম বিভাস কাঁসারিকে সঙ্গে নিয়ে নিশিবাবুর বাড়ি যান। শিল্পী তফসিলি হলেও তাঁর শংসাপত্র নেই জেনে তা বানিয়ে নিতে বলেন। তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দেন। তা ছাড়া সরকারি কাজের বরাত যাতে নিশিবাবু পান সে জন্য কাজের নমুনা সম্বলিত তালিকা তৈরি করে দফতরে দেখা করতে বলেন মহকুমাশাসক। তিনি বলেন, “নিশি ঘরামি যাতে সরকারি সাহায্য যাতে পান তা দেখা হবে।” শিলিগুড়ির শিবমন্দির এলাকার সাধন বসাক নামের এক আসবাববিক্রেতাও নিশিবাবুর হাতের কাজ বিক্রির ব্যাপারে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।

কিশোরী পাচারের অভিযোগে এক মহিলাকে ধরল প্রধাননগর থানার পুলিশ। শনিবার নাগরাকাটা থানার পুলিশের সহায়তা নিয়ে মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। নাম মরিয়ম ওঁরাও। তার বাড়ি ওই এলাকাতেই। চম্পাসারির ১৫ বছরের কিশোরীকে কানপুরে পাচারের পিছনে তার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি কানপুর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে প্রধাননগর থানার পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ ধীরাজ ওঁরাও নামে যুবককে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মরিয়মকে গ্রেফতার করা হয়। মরিয়মের স্বামী সঞ্জয় ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা বলেন, “ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। আরও কেউ ওই ঘটনায় জড়িত কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সুপার ডিভিশন ফুটবলে রবিবার উল্কা ক্লাব ৩-০ হারিয়েছে দেশবন্ধু স্পোর্টিং ইউনিয়নকে। দু’টি গোল সুরজিৎ দাসের, অপরটি বিশ্বজিৎ দাসের। এ দিন সূর্যনগর মিউনিসিপ্যাল মাঠে প্রথম ডিভিশনে বিধান স্পোর্টিং ক্লাব ৩-০ হারিয়েছে তরুণ তীর্থকে। তরাই স্কুল মাঠে নবীন সঙ্ঘ ১-০ হারায় রবীন্দ্র সঙ্ঘকে। এ দিন জলপাইগুড়ি ক্রীড়া সংস্থার নকআউটে সেরা শিলিগুড়ি কিশোর সঙ্ঘ। রবিবার ফাইনালে কোচবিহার এনবিএসটি রিক্রিয়েশনকে তারা ১-০ হারিয়েছে।

বিটিটিএ’র উদ্যোগে জিটিএস ক্লাব পরিচালিত টেবল টেনিসে পুরুষ ও মহিলা বিভাগে সেরা রামকুমার ঠাকুর, মুন্নি লাহা। জুনিয়রে শ্রীতম দাস ও পিঙ্কি দেব। সাব জুনিয়রে জয়সূর্য ভট্টাচার্য, গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্যাডেটে রণিত সরকার পৈশালী, দত্ত। নার্সারি বিভাগে শুভম দত্ত তপর্ণী দেকে হারিয়ে দিয়েছে।

Previous Story Uttarbanga Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.