|
|
|
|
উত্তরের চিঠি |
হেরিটেজ তকমা পায়নি আজও |
সমগ্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হল ইতিহাসের আঁতুড়ঘর। এখানে ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব হাত ধরাধরি করে চলে। জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থান হেরিটেজের আওতায় আসার দাবি রাখে। কিছুদিন আগে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণ ও রাজ্য হেরিটেজ কমিশন উত্তরবঙ্গের ছটির মধ্যে পাঁচটি জেলায় তথ্য সংগ্রহের কাজে নেমেছে। উত্তরবঙ্গে হেরিটেজ কমিশনের মূল কমিটি ছাড়াও সাব-কমিটি গঠিত হয় এবং পাঁচটি জেলায় তথ্য সংগ্রহের জন্য ফিল্ড-ইনভেস্টিগেটরও নিয়োগ করা হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরে দু’জন ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর জেলাব্যাপী প্রাচীন মন্দির, মসজিদ, রাজবাড়ি, দিঘি, গির্জা, পুরনো স্থাপত্য ইত্যাদি ডকুমেন্টেশনের কাজ করছেন। বর্তমানে কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। প্রাথমিক ভাবে যে সব স্থাপত্য, প্রত্নকীর্তি হেরিটেজের আওতায় আসা উচিত সেগুলি এখানে তুলে ধরলাম।
(১) বাণগড় (গঙ্গারামপুর),
(২) বখতইয়ারের সমাধি (গঙ্গারামপুর),
(৩) বিন্দুবাসিনী মন্দির (ভিখাহার),
(৪) তপনদিঘি (তপন),
(৫) শিবমন্দির (করদহ),
(৬) মনহলির জমিদারবাড়ি (তপন),
(৭) মখদুম শাহজালালের দরগা (ভিখাহার),
(৮) মায়ের থান (ভায়োর),
(৯) সিংহবাহিনী মন্দির (খাঁপুর),
(১০) বৈরাট্টা (হরিরামপুর),
(১১) একডালা দুর্গ ও শমীবৃক্ষ (হরিরামপুর),
(১২) মহীপালদিঘি ও নীলকুঠি (কুশমণ্ডি),
(১৩), নীলকুঠি (বংশীহারি),
(১৪) দেবগ্রামের শিবমন্দির
(কুমারগঞ্জ),
(১৫) কুমুদনাথ পাবলিক লাইব্রেরি (হিলি),
(১৬) বিদ্যেশ্বরী মন্দির (পতিরাম),
(১৭) রাধাগোবিন্দ মন্দির (আটোর),
(১৮) সন্ধ্যাকর নন্দীর জন্মস্থান (বটুন),
(১৯) মুন্সেফ কোর্ট (বালুরঘাট),
(২০) রঘুনাথের মন্দির (বালুরঘাট),
(২১) টাউন ব্যাঙ্ক (বালুরঘাট),
(২২) জৈন মন্দির (আমিনপুর),
(২৩) পোড়াগাজির মন্দির (পোড়াগাজি),
(২৪) নাজিরপুরের স্তূপ (বালুরঘাট)।
এ ছাড়া আরও অজস্র পুরাকীর্তি রয়েছে। |
|
মনহলির জমিদারবাড়ি। তপন, দক্ষিণ দিনাজপুর। ছবি: সমিত ঘোষ |
প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণ, হেরিটেজ কমিশন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ, প্রান্তিক ও বঞ্চনার জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর যেন হেরিটেজের ক্ষেত্রে বরাদ্দ অর্থ থেকে বঞ্চিত না হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু স্থাপত্য হেরিটেজের তকমা পেলে জেলার পর্যটন ও অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। জেলাবাসী হিসেবে সেই আশাতেই রইলাম।
|
সমিত ঘোষ। বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর
|
পুর-কর্পোরেশনের দাবি |
জলপাইগুড়ি শহরের আয়তন এবং ক্রমাগত লোকসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এই শহরের প্রাচীন পুরসভাকে পুর-কর্পোরেশনে উন্নীত করার দীর্ঘ দিনের জোরাল দাবিটি কিন্তু সমগ্র জলপাইগুড়িবাসীরই। অথচ বামফ্রন্টের লাল ফিতের ফাঁসের জন্য প্রস্তাবটি সার্কিট বেঞ্চের মতো আজও বাস্তবায়িত হতে পারেনি। ফলে জলপাইগুড়িবাসীর মনে দীর্ঘকাল ধরে পুঞ্জীভূত হয়ে রয়েছে বঞ্চনার ক্ষোভ। আমরা যতদূর জানি, জলপাইগুড়ি পুরসভার তরফ থেকে মাননীয় পুরপতি বহু বার এই পুর-কর্পোরেশনের প্রস্তাব তৎকালীন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের কাছে পেশ করেছিলেন, কিন্তু তা বার বারই ব্যর্থ হয়েছে। আজ আমাদের ভাবতেও বিস্ময় লাগে যে, যে প্রাচীন শহরটিকে উত্তরবঙ্গের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের শহর বলে গণ্য করা হত, সেই শহরটির প্রতি এত বঞ্চনা কেন? আমরা বঞ্চনার প্রতিবাদে তেমন কোনও আন্দোলন গড়ে তুলতে পারিনি বলেই কি আমাদের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে না?
আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, নতুন রাজ্য সরকার আমাদের ন্যায্য দাবিটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে এবং জলপাইগুড়িবাসীর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।
|
অরবিন্দকুমার সেন। মহামায়াপাড়া, জলপাইগুড়ি
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
‘উত্তরের চিঠি’, এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড,
শিলিগুড়ি ৭৩৪৪০১ |
|
|
|
|
|