|
|
|
|
|
|
|
|
অকুপেশনাল থেরাপি |
শারীরিক বা মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন মানুষকে সুস্থ সাধারণ জীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আজকের দিনে একটা কার্যকর পদ্ধতি হল ‘অকুপেশনাল থেরাপি’। অ্যালঝাইমার, স্কিৎসোফ্রেনিয়ার মতো বিভিন্ন মানসিক রোগ থেকে শুরু করে কাজের সূত্রে আঘাত, জন্মগত সমস্যা বা মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস-এর মতো দুরারোগ্য রোগ এই সব ক্ষেত্রে নিরাময়ের জন্য অকুপেশনাল থেরাপিস্টদের গুরুত্ব অপরিসীম।
‘অকুপেশনাল থেরাপি’ পড়তে যোগ্যতা লাগে বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। কোর্সের মধ্যে অ্যানাটমি, প্যাথোলজি, ফিজিয়োলজি ও সার্জারির মতো ক্লিনিকাল বা প্যারামেডিক্যালের বিষয়ও পড়ানো হয়। কোর্স শেষে বিভিন্ন ক্লিনিকাল প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ছ’মাসের বাধ্যতামূলক ইনটার্নশিপ করতে হয়। স্নাতক হতে সময় লাগে ৪ বছর। তবে লাইসেন্সড থেরাপিস্টদের কিন্তু ডিগ্রির পাশাপাশি জাতীয় সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর দি অর্থোপেডিক্যালি হ্যান্ডিক্যাপড-এ (http://www.nioh.in/departments.html) অকুপেশনাল থেরাপিতে স্নাতক (সাড়ে চার বছর) এবং স্নাতকোত্তর (দু’বছর) কোর্স করানো হয়। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন-এ (http://www.aiipmr.gov.in/training.html) মাস্টার্স ইন অকুপেশনাল থেরাপি এবং ডিপ্লোমা ইন রিহ্যাবিলিটেশন ফর অকুপেশনাল থেরাপিস্টস কোর্স রয়েছে।
l বিজ্ঞান সহ উচ্চ মাধ্যমিকে গড়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেলে অকুপেশনাল থেরাপি নিয়ে পড়া যায়।
lভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়।
lবিভিন্ন রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার বা ক্লিনিক ছাড়াও স্কুল বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও চাকরির প্রচুর সুযোগ পাওয়া যায়। |
|
রসায়নে নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ছি। ভবিষ্যতে অরগ্যানিক কেমিস্ট্রি নিয়ে উচ্চশিক্ষা করতে চাই। বাইরে এবং রাজ্যে পড়াশোনার সুযোগ কেমন?
অমিতচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া
অরগানিক কেমিস্ট্রি-তে এম এসসি করা যায় ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত হায়দরাবাদের প্রগতি কলেজ, অ্যানি বেসান্ত উইমেনস কলেজ, নানকরাম ভগবানদাস সায়েন্স কলেজ, বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (ওয়েবসাইট: http://orgchem.iisc.ernet.in, এখানে পিএইচ ডি করারও সুযোগ রয়েছে), মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় (ওয়েবসাইট: www.unom.ac.in), বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (bhu.ac.in) প্রভৃতি। এ ছাড়া, আই আই টি কানপুরে (ওয়েবসাইট: http://www.iitk.ac.in/chm) রসায়ন বিষয়ে ৫ বছরের ইন্টিগ্রেটেড এম এসসি, ২ বছরের এম এসসি এবং পিএইচ ডি করার সুযোগ রয়েছে। এম টেক করতে হলে ‘GET’ পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এ রাজ্যে কলকাতা, যাদবপুর, কল্যাণী, বিশ্বভারতী, বর্ধমান সব বিশ্ববিদ্যালয়েই অরগ্যানিক কেমিস্ট্রিতে স্পেশালাইজেশন করা যায়। তবে, কেমিস্ট্রি (সাম্মানিক) বিষয়ে স্নাতক স্তরে ৬০ শতাংশ নম্বর থাকা প্রয়োজন সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে। যদিও এই নিয়ম বিভিন্ন বছরে পরিবর্তিত হতে পারে।
বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ভবিষ্যতে ফিজিয়োথেরাপি নিয়ে পড়তে চাই। এর জন্য কী পরীক্ষা দিতে হয়? রাজ্যে কোথায় কোথায় পড়ার সুযোগ আছে? কত বছরের কোর্স? এই কোর্সে খরচ কত?
সম্রাট মাইতি, আন্দুল
এ রাজ্যে ফিজিয়োথেরাপি নিয়ে পড়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশনস বোর্ড পরিচালিত JENPARH পরীক্ষায় বসতে হয়। যোগ্যতা: ইংরেজি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা এবং অন্য যে-কোনও একটি ভাষা-সহ উচ্চ মাধ্যমিক বা (১০+২) সমতুল পরীক্ষায় পাশ অথবা পরীক্ষার্থী। ৫০ শতাংশ নম্বর আবশ্যিক। বয়স হতে হবে ১৭ থেকে ২২-এর মধ্যে।
এ রাজ্যে মূলত ফিজিয়োথেরাপির ডিগ্রি এবং মাস্টার কোর্স পড়ানো হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্স অনুমোদিত যে-সমস্ত প্রতিষ্ঠানে এই কোর্সটি পড়ানো হয়, সেগুলি হল স্কুল অব ফিজিক্যাল মেডিসিন, IPGME & R (ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, দূরভাষ: ০৩৩-২২২৩-০১৮৯), MRCC কলেজ অব অর্থোপেডিক্স, বিদ্যাসাগর ইনস্টিটিউট অব হেলথ (দূরভাষ: ০৩২২২-২৬৮৯৮৪), হলদিয়ায় কলেজ অব প্যারামেডিক্যাল সায়েন্সেস (দূরভাষ: ০৩২২৪-২৫৫৫৮৭), দুর্গাপুর প্যারামেডিক্যাল ইনস্টিটিউট (দূরভাষ: ০৩৪৩-২৫৩৪৮৭, ওয়েবসাইট: http://paramedicalcollege.org), বর্ধমান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স, কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (দূরভাষ: ০৩৩-২৪৭৫-৩৬৩৬), বারুইপুরে SPG কলেজ অব হেলথ সায়েন্সেস প্রভৃতি।
সব ক’টি প্রতিষ্ঠানেই BPT কোর্স করানো হয়। শুধুমাত্র বর্ধমানে মাস্টার্স ডিগ্রিও পড়ানো হয়। BPT কোর্সটি সাড়ে ৪ বছরের এবং খরচ লাগে ৩৫-৬০ হাজার টাকা (প্রতি বছর)।
এ ছাড়া বনহুগলির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অর্থোপেডিকালি হ্যান্ডিক্যাপড-এও সাড়ে ৪ বছরের BPT এবং ২ বছরের MPT কোর্স করানো হয়। (দূরভাষ: ০৩৩-২৫৩১-১২৪৮, ০২৭৯, ০৬১০।) |
|
|
ফোকাস
অনিন্দ্যজ্যোতি মজুমদার
শিক্ষক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় |
|
রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়ছি। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে উচ্চশিক্ষা করতে চাই। কোথায় করব?
রিনিতা দাস, বাঙ্গুর
রাজ্যে একমাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডর্জাতিক সম্পর্কে স্নাতকোত্তর কোর্স পড়ানো হয়। তবে ২০১১ থেকে বিষয়টির নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস’-এর বদলে ‘পলিটিকাল সায়েন্স উইথ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস’ করা হয়েছে। এ ছাড়া দিল্লির জে এন ইউ-তে পলিটিক্স (ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ)-এ স্নাতকোত্তর এবং পন্ডিচরি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সংক্রান্ত বিষয়ে এম এ, এম ফিল এবং পিএইচ ডি কোর্স রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইয়োরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে উচ্চশিক্ষার অনেক সুযোগ আছে। বিশ্বে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কে সব সময়েই কিছু না কিছু ঘটছেই। ফলে এই বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রগুলিও অনেকাংশে সময় ভিত্তিক। গবেষণা করা যায় পরিবেশ ও উন্নয়ন, ভারতীয় সমাজ ও রাজনৈতিক চিন্তাধারা, মানবাধিকার, ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সন্ত্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদিতে। |
|
দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয় জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও।
খামের উপর লেখো:
হোম পেজ, প্রস্তুতি,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|