পড়াশোনার ফাঁকে সময় পেলে সংসারের আয় বাড়াতে কখনও ইটভাটায় ভ্যানরকিশা টানা, নয়তো জামাকাপড় সেলাইয়ের কাজ করা, এ ভাবেই উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য তৈরি হয়েছিল মমিনুর সর্দার। বসিরহাটের হাইস্কুলের এই ছাত্রটির এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৩৯৮। বসিরহাটের সোলদানার বাঁশঝাড়ি গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় টালির চালের এক চিলতে ঘর আবুল কাসেমের। স্ত্রী সাহিদা এবং ছেলেমেয়ে নিয়ে সাতজনের সংসার। অনেক কষ্টে তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ইটভাটায় ভ্যানরিকশা চালিয়ে যে সামান্য আয় হয় তাতে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানোটা নেহাতই বিলাসিতা। তবু সেই স্বপ্ন দেখতেন আবুল। স্বপ্ন দেখেন তাঁর ছেলেমেয়ে পড়াশোনা শিখে মানুষ হয়েছে। সংসারের দুঃখ ঘুচেছে। তবে স্বপ্ন দেখেই থামেননি তিনি। ভ্যানরিকশা চালানোর সামান্য উপার্জনকে সম্বল করেই আবুল চেষ্টা করেছেন ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে। বাবার সেই স্বপ্ন সার্থক করে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন মমিনুর। যার সুফলও পেয়েছেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিকে ছেলের এই সাফল্যে নিজের স্বপ্নপূরণের পথ খুঁজে পেয়েছেন আবুল কাশেম। তবে এটাও জানেন যে আরও অনেক দূর যেতে হবে ছেলেকে। জানেন মমিনুরও। মমিনুরের দাদা আমিনুর বর্তমানে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ পড়ছেন। মমিনুরের ইচ্ছা শিক্ষক হওয়ার। কারণ টাকার অভাবে প্রচুর গরিব ছেলেমেয়ের পড়াশোনা না করতে পারার বিষয়টি তাঁকে ভাবায়। কষ্ট দেয়। তাই শিক্ষক হয়ে গরিব ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করতে চান বলে জানালেন মমিনুর। পড়াশোনায় আগ্রহ দেখে তিনজন গৃহশিক্ষক তাঁকে সাহায্য করেছেন। সাহায্য পেয়েছেন স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকেও। স্কুলের শিক্ষকদের বক্তব্য, ইচ্ছা থাকলে যে সব প্রতিকূলতাকে জয় করে এগোনো যায় তা দেখিয়েছে মমিনুর।
|
বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক বালকের। জখম হয়েছে ৬ জন। তাদের জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির মাধবনগর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুনীল সর্দার (৯)। এ দিন বিকেলে মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল সুনীল। সেই সময়েই বাজ পড়ে সে মারা যায়। আহত হয় তার সঙ্গীরা।
|
কাঁকিনাড়ার কাছারিমোড়ে রবিবার রাতে গুলি করে এক যুবককে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম মহম্মদ ভিকি (৩৫)। তার নামে দুষ্কর্মের অভিযোগ ছিল। ভিকির কপালে গুলি করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের সন্দেহ, ভিকির প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীই তাকে খুন করেছে।
|
তৃণমূলের বিজয় মিছিলকে ঘিরে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে আহত হলেন দু’পক্ষের ১৩ জন কর্মী-সমর্থক। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের পানগেড়ে গ্রামে। গণ্ডগোলের সূত্রপাত এ দিন সকালে। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই গ্রামে বিজয় মিছিলের আয়োজন করলে কয়েকজন সিপিএম সমর্থক বাধা দেয়। অন্য দিকে, সিপিএমের পাল্টা দাবি, সন্ধ্যায় তৃণমূলের সমর্থকরা ওই গ্রামে জড়ো হয়ে বাসু মালিক নামে এক সিপিএম সমর্থককে মারধর করে। এর পরেই দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। আহতদের খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে শিবরাম বাগ ও প্রদ্যোৎ বাগ নামে দুই ব্যক্তিকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তৃণমূলের দাবি, ওই দুই ব্যক্তিই তাদের সমর্থক। খানাকুলের তৃণমূল নেতা তথা দলের হুগলি জেলা কমিটির সদস্য শৈলেন সিংহের অভিযোগ, “বিনা প্ররোচনায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে সিপিএম।” তিনি বলেন, “আমাদের যে সব কর্মী নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করে মিছিল করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” অন্য দিকে, সিপিএমের খানাকুল জোনাল সদস্য ভজহরি ভুঁইয়ার দাবি, “ওই ঘটনা রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়। আমাদের এক সমর্থককে তৃণমূল অন্যায় ভাবে মারধর করলে প্রতিবেশীরাই তার প্রতিবাদ করেন।” পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। |
এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির (৩৫) রক্তাক্ত মৃতদেহ মিলেছে। রবিবার, বারুইপুরের টংতলার একটি মাঠে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির গলার নলি কাটা ছিল, মাথা থ্যাঁতলানো। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। |