|
|
|
|
ফুটবলারকে মারধরের প্রতিবাদে অবরোধ, যানজটে নাকাল মানুষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
ফুটবলারকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে টাকি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় ফুটবলার ও ছাত্রেরা। রবিবার দুপুরে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ পুলিশ গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের ঘেরাও করে। এক দিনের মধ্যে দোষীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে। পুলিশ চলে যাওয়ার পরে বিক্ষুব্ধ জনতা দু’টি দোকান ভেঙে ফেলে সেখানে তুলে ফেলা নলকূপ ফের পোঁতার প্রস্তুতি শুরু করে।
শুক্রবার বিকেলে দেগঙ্গার হাদিপুর গড়পাড়ার বাসিন্দা মহামেডান স্পোর্টিংয়ের ফুটবলার হাচিবুদ্দিন মণ্ডল প্রশিক্ষণ নিতে যাওয়ার সময়ে দেখেন, হাড়োয়া রোডের একটি নলকূপ তুলে ফেলা হচ্ছে। গ্রামের একটি ক্লাবের তরফে ক’দিন আগে নলকূপটি পোঁতা হয়েছিল। সেই কল তুলে ফেলে দোকান করার চেষ্টা হচ্ছে দেখে রুখে দাঁড়ান হাচিবুদ্দিন। মারধর করা হয় তাঁকে। পরে ওই ফুটবলারকে পাঠানো হয় বারাসত হাসপাতালে। তাঁর কয়েক জন আত্মীয়কেও মারধর করা হয়। ওই দিনই হাচিবুদ্দিনের পরিবারের তরফে সাহাবুদ্দিন মণ্ডল, আলমগির মণ্ডল, জাহাঙ্গির মণ্ডল এবং কুতুবুদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। |
|
বেড়াচাঁপায় অবরুদ্ধ টাকি রোড। নিজস্ব চিত্র |
এ দিন দুপুরে বসিরহাট, হাড়োয়া, বেড়াচাঁপার কয়েকটি ক্লাবের ফুটবলার এবং এলাকার ছাত্রেরা প্রতিবাদে সোচ্চার হন। বেড়াচাঁপা চৌরাস্তার মোড়ে বেঞ্চ পেতে শুরু হয় টাকি রোড অবরোধ। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বেআইনি ভাবে নলকূপ তুলে সেখানে দোকান করা হচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে মারধর করা হচ্ছে। অথচ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ।
হাচিবুদ্দিনের ভাই মনিরুলও মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে খেলেন। তিনি বলেন, “ক্লাবের ছেলেরা গ্রামবাসীর অসুবিধার কথা ভেবে রাস্তার ধারে জলের কল বসিয়েছিল। ওরা দোকান করবে বলে কল তুলে ফেলে। প্রতিবাদ করায় মারধর করেছে। অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করেনি।” অন্য দিকে, অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিন মণ্ডল পাল্টা বলেন, “হাচিবুদ্দিনেরা ওই জায়গাটা দখল করার চেষ্টা করেছিল। আমরা দোকান ঘর করতে গেলে ওরাই প্রথমে বাধা দেয়। আমার এক ভাগ্নে মিনাজুল মোল্লাকে মারধরও করেছে।” |
|
|
|
|
|