বরাবরের মেধাবী ছাত্র। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিটি পরীক্ষাতেই কৃতী। এ বার আইপিএসেও সফল। ২০১০-এর আইপিএস পরীক্ষায় ১৯৪ র্যাঙ্ক করেছেন জয়ন্ত চক্রবর্তী। বাড়ি মেদিনীপুরের হবিবপুর নতুনপল্লিতে।
জয়ন্ত মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে যাদবপুরে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন। তবে এম টেক করার আগেই ইন্ডিয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস (আইইএস)-এ সফল হয়ে চাকরিতে যোগ দেন। বর্তমানে রেলওয়ে সিনিয়ার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে কর্মরত। তবু মনে খেদ ছিল। আইপিএসে সফল হয়ে সেই দুঃখ মিটেছে। জয়ন্তর বাবা স্বপনকুমার চক্রবর্তী বলেন, “ছোট থেকেই ও পড়াশোনায় ভাল। আমরাও আশা করেছিলাম, সর্বভারতীয় যে কোনও পরীক্ষায় সাফল্য পাবে। ভীষণ ভাল লাগছে।” স্বপনবাবু নিজে ফলিত অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান সংস্থায় চাকরি করতেন। জয়ন্তর মা শিবানীদেবীও গর্বিত ছেলের সাফল্যে।
|
ট্রাক্টরের ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পাঁশকুড়ার রূপদয়পুর এলাকায়। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ তমলুক-পাঁশকুড়া সড়কে ওই দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতার নাম আসমা বিবি (৪০)। তাঁর বাড়ি রূপদয়পুর গ্রামেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে রেশন দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনে তমলুক-পাঁশকুড়া সড়ক ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন আসমা বিবি। রাস্তা পার হওয়ার সময় তমলুক থেকে পাঁশকুড়া পুরাতনবাজার গামী একটি ট্রাক্টর ওই বধূকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বধূর। স্থানীয় বাসিন্দারা ট্রাক্টরটিকে আটক করে এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে অবরোধ শুরু করে। ফলে দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে বাধা পায় পুলিশ। অবশেষে ক্ষতিপূরণের জন্য আলোচনার আশ্বাস দিয়ে বেলা ১২টা নাগাদ মৃতদেহ উদ্ধার করে তারা।
|
একশো দিনের প্রকল্পে একটি রাস্তা সংস্কারের সময়ে জমির সীমা নিয়ে বিবাদের জেরে গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সচিবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলেন এক সিপিএম সমর্থক। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা-২ ব্লকের দেশবন্ধু পঞ্চায়েতের কেঁউটগেড়িয়া গ্রামে। গ্রাম-কমিটির সচিব তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা রঞ্জন দে-কে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে এগরা মহকুমা হাসপাতালে। চিত্তরঞ্জন দাস নামে ওই সিপিএম সমর্থককে গ্রামবাসীরাই ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাঁর নামে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, রাস্তার জন্য নির্দিষ্ট জমির একাংশ নিজের বলে দাবি করে প্রথমে কাজে বাধা দেন চিত্তরঞ্জনবাবু। পরে বাড়ি থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে রঞ্জনবাবুর মাথায় কোপ বসানোর চেষ্টা করেন। রঞ্জনবাবু কোনও রকমে মাথা সরিয়ে নিলে কোপ পড়ে তাঁর হাতে। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, জমিজমা নিয়ে ব্যক্তিগত বিবাদ থেকেই এ দিনের ঘটনা। রাজনীতির যোগ নেই।
|
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কাঁথির মারিশদা থানার শেরপুর বরুণবেড়িয়া গ্রামে। মৃতের নাম চন্দন ঘোড়ই (২৬)। রবিবার সকালে বাড়ির সামনেই তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার রাতে একটা ফোন আসার পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান চন্দন। রাতে আর তিনি ফেরেননি। পরদিন সকালে বাড়ির সামনে দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃতের বড়দা দুলাল ঘোড়ই মারিশদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্তের দাবিতে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা কণিষ্ক পণ্ডার নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা এ দিন মারিশদা থানায় বিক্ষোভ দেখান। দিঘা-কলকাতা সড়কও ঘণ্টাখানেকের জন্য অবরোধ করেন গ্রামবাসী। চন্দনের মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
বধূ নির্যাতনের দায়ে গ্রেফতার হলেন হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক শিক্ষক ও তাঁর বাবা। ধৃত শিক্ষক কুশল রায় দুর্গাচক এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। শনিবার রাতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্গাচক থানায় অভিযোগ জানান স্ত্রী গার্গী রায়। রবিবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে ধৃতেরা জামিন পান। অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন। দম্পতির ছয় মাসের একটি সন্তান রয়েছে।
|
‘দালালরাজে’র অভিযোগ উঠছিল অনেক দিন ধরেই। রবিবার সকালে সেই দালালদের সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন সাধারণ যাত্রী জখম হলেন দিঘা রেল স্টেশনে। রামকৃষ্ণ দাস নামে আহত এক যাত্রী দিঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরিও ‘দালালরাজে’র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তবে, স্টেশন কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেননি। |