|
|
|
|
কাটিচের পাশে এ বার মন্ত্রীও |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
সাইমন কাটিচের দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে যে চাপানউতোর অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হয়েছে তা ভারতীয় উপমহাদেশে চেনা দৃশ্য হলেও সে দেশে বিরল। দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা তো আছেনই, কাটিচ প্রসঙ্গে মুখ খুলছেন এমনকি মন্ত্রীও।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্টিফেন স্মিথ বলেছেন, “কাটিচকে বাদ দেওয়া অনৈতিক কাজ।” কাটিচও আপ্লুত মন্ত্রী-প্রাক্তন ক্রিকেটার-অগুন্তি সমর্থককে পাশে পেয়ে। বলেছেন, “বিভিন্ন দিক থেকে যেমন সমর্থন পাচ্ছি সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মতো।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্মিথ রাগ উগড়ে দিয়েছেন জাতীয় নির্বাচকদের উপর। “এ ধরনের কাজ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আর নির্বাচকরা অনেক দিন ধরে করে আসছে, বিশেষ করে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সঙ্গে,” বলেছেন মন্ত্রী। সঙ্গে যোগ করেছেন, “গত তিন বছরে কাটিচ ৩০০০ রান করেছে, গড় ৫০, তাকে বাদ দেওয়া অবাক করার মতোই ঘটনা। এমনকী পন্টিং বা মাইক হাসির থেকেও কাটিচ এই সময়ে ভাল খেলেছে।”
কাটিচকে বাদ দেওয়ার পিছনে পারফরম্যান্সের বদলে বয়স যদি মাপকাঠি হয়, তা হলে পন্টিং-হাসি কী করে জাতীয় দলে থেকে যাচ্ছেন তা নিয়ে সরব হচ্ছেন অনেকেই। মূলত অভিযোগের আঙুল উঠছে নির্বাচন কমিটি প্রধান অ্যান্ড্রু হিলডিচ এবং পূর্ণ সময়ের নির্বাচকের বিশেষ পদে থাকা গ্রেগ চ্যাপেলের দিকে। গ্রেগ ভারতের কোচ থাকাকালীন সচিন-সৌরভদের বয়স নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। সৌরভ বাদ পড়েছিলেন। সচিন বাদ না পড়লেও বিতর্ক চলেছিল দীর্ঘ দিন। নিজের দেশেও গ্রেগের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে।
অস্ট্রেলীয় বোর্ডের ক্রিকেট সংক্রান্ত বিষয়ের প্রধান মাইকেল ব্রাউন বলেছেন, “কাউকে পূর্ণ সময়ের নির্বাচনের দায়িত্ব দিলেই পারফরম্যান্স উন্নত হয়ে যাবে ভাবলে চলবে না।” আবার কাটিচের বাদ পড়াকে সমর্থন করলেও শ্রীলঙ্কা সফরে অন্তত তাঁকে দরকার ছিল বলে মনে করছেন ইয়ান চ্যাপেল। |
|
|
|
|
|