পেশাদার টেনিস ট্যুর ঘাসের কোর্টে পড়তেই ভারতীয় ডাবলস তারকাদের ভেল্কি শুরু হয়ে গেল। পাশাপাশি তাঁরা প্রত্যাশা বাড়িয়ে তুললেন আসন্ন উইম্বলডনে ডাবলসে সাফল্যের প্রশ্নে। ঘাসের কোর্টের মরসুমের প্রথম সপ্তাহে জার্মানির হ্যাল ওপেনে ডাবলস চ্যাম্পিয়ন হলেন টেনিসের ইন্দো-পাক মৈত্রী এক্সপ্রেস রোহন বোপান্না-আইসাম কুরেশি। আর লন্ডনের কুইন্স পার্ক টুর্নামেন্টে বৃষ্টির জন্য শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শুরু না-হতে পারা ডাবলস ফাইনালে নামতে অপেক্ষমান লি-হেশের ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’। বিশ্বসেরা মার্কিন জুটি বব ও মাইক ব্রায়ানদের বিরুদ্ধে। হ্যাল ওপেনে শীর্ষ বাছাই বোপান্নারা রবিবার ফাইনালে সুপার টাইব্রেকে হারালেন অবাছাই ডাচ-কানাডিয়ান জুটি রবিন হাস-মিলোস রাওনিককে ৭-৬ (১০-৮), ৩-৬, ১১-৯। স্কোর লাইন দেখলেই বোঝা যাচ্ছে অনামী জুটিকে হারাতেও কতটা বেশি বেগ পেতে হয়েছে বিশ্ব ডাবলস র্যাঙ্কিংয়ে ছয় নম্বর টিম বোপান্না-কুরেশির। ডাবলসের ব্যক্তিগত বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়েও বোপান্না ও কুরেশি এই মুহূর্তে প্রথম দশের মধ্যে। বোপান্না ১০, কুরেশি ৮। লিয়েন্ডার পেজ পর্যন্ত (১১) তাঁদের পিছনে। উল্টো দিকে হাসের ডাবলস র্যাঙ্কিং ৮৮, রাওনিকের চারশোরও বেশি!
|
খেলতে খেলতে হৃদরোগে মারা গেলেন ময়দানের পরিচিত ফুটবলার উজ্জ্বল রায়। ব্যারাকপুরে স্থানীয় একটি ক্লাবে প্রাক্তনদের প্রদর্শনী ম্যাচে। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়, জগদীশ ঘোষ, উত্তম চক্রবর্তীদের মতো প্রাক্তনদের সঙ্গে খেলছিলেন ৫১ বছরের উজ্জ্বল। যিনি অতীতে ভ্রাতৃ সঙ্ঘ, বি এন আর, কুমারটুলির হয়ে খেলেছেন। মাঠের ধারে বসে সুশীল সিংহ, স্বপন সেনগুপ্তর মতো প্রাক্তন তারকারা। খেলা শুরুর মিনিট চারের মধ্যেই উজ্জ্বল নিজেই মাটিতে পড়ে যান। ডাক্তার এসে শুশ্রুষা করে অ্যাম্বুলেন্সে পাঠান হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি। তিন প্রধানের প্রাক্তন গোলকিপার জগদীশ বলছিলেন, “খেলা হচ্ছিল উল্টো দিকে। ও ছিল আমার প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডে। দেখি হঠাৎ আমার সামনেই একা মাটিতে পড়ে আছে। ছুটে গিয়ে পরিচর্যা করলাম। চেঁচিয়ে ডাক্তার ডাকি। পরে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যেতে যেতেই মারা গেছে।” জগদীশ আক্ষেপ করছিলেন, “ফুটবল অন্ত প্রাণ ছিল। অনেক বাচ্চা ফুটবলারকে সাহায্য করেছে। ম্যাচের আগে বলছিল, ৮০ কেজি থেকে ওজন কমিয়ে ৬৮ কেজি করেছে। ওয়ার্ম আপের সময় আমায় কয়েকটা বলও মারল। উজ্জ্বল যে এ ভাবে চলে যাবে ভাবতে পারিনি।”
|
বাংলার জন্য সোনা আনতে চলেছেন সুস্মিতা সিংহ রায়। বেঙ্গালুরুতে আন্তঃ রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিটের দ্বিতীয় দিনে বাংলা একটি সোনা, দুটো রুপো জিতেছে। চারশো মিটার দৌড়ে কলকাতার ছেলে শেখ মুর্তাজা সোনা জিতেছেন। হাইজাম্পে কৃষ্ণনগরের মেয়ে মল্লিকা মণ্ডল রুপো জিতেছেন। ১০০ মিটারে সিঙ্গুরের আশা রায়কেও শেষপর্যন্ত রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। তিন পদকের জয়ের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল মেদিনীপুরের মেয়ে সুস্মিতার ইভেন্ট হেপ্টাথলন নিয়ে। কারণ ওই রাজ্য থেকে কিছু পাননি এই অভিমানে বাংলা ছেড়ে ঝাড়খণ্ড যেতে চাওয়া সুস্মিতাকে শেষ মুহূর্তে পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছিল রাজ্যের নতুন সরকার। সাতটি ইভেন্টের চারটি শেষ হয়েছে। এবং সুস্মিতা দুটি ইভেন্টে জীবনের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে এগিয়ে অনেকটাই। সুস্মিতার পয়েন্ট ৩৩৮৯। পঞ্জাবের নবপ্রীতের পয়েন্ট ৩০৮১। বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে রাজ্য অ্যামেচার অ্যাথলেটিক্সের কর্তা আশিস সেনগুপ্ত বললেন, “ওর সোনা পাওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।” এই মিট থেকেই এশীয় মিটের দল নির্বাচন ভারতের।
|
তিরন্দাজি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে তুরস্কে মিক্স-জুটিতে রুপো পেল ভারত। জয়ন্ত তালুকদার এবং দীপিকা কুমারি ফাইনালে চিনা-জুটি দাই জিওক্সিয়াং এবং ফ্যাং ইউটিং-এর কাছে ১৩৩-১৩৬ পয়েন্টে হেরে যায়।
|
আন্তঃ জেলা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হল উত্তর ২৪ পরগনা চ্যাম্পস। ইডেনে ফাইনালে তারা ২৬ রানে হারাল হাওড়া ডায়মন্ডসকে। দেবোপম বিশ্বাসের ৪৯ বলে ৮২-র সুবাদে উত্তর ২৪ পরগনা ২০ ওভারে তোলে ১৭৪-২। হাওড়া শেষ করে ১৪৮-৬। দীপক প্রসাদ করেন ৬৮।
|
হিমাচলে ৬১১৮ মিটার শৃঙ্গ অভিযানে রওনা হবেন রায়গঞ্জের হিমালয়ান মাউন্টেনার্স অ্যান্ড ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৯ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। রবিবার রায়গঞ্জের প্রেস ক্লাবে সদস্যদের জাতীয় পতাকা, শুভেচ্ছা বার্তা তুলে দেন রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকার চেকও দিয়েছেন তিনি। |