|
|
|
|
মোবাইলে ছবি তোলার প্রতিবাদ কলেজ ছাত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
না জানিয়েই মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলছিল অপরিচিত এক যুবক। প্রতিবাদ জানাতে কালক্ষেপ করেননি মেদিনীপুর গোপ কলেজের ছাত্রী মোনালিসা সিংহ। শেষমেশ অভিযুক্ত যুবক পালিয়েছে। তবে তার মোবাইলটি থানায় জমা দিয়ে পুলিশকে সব জানিয়েছেন মোনালিসা।
রবিবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের তাঁতিগেড়িয়ায়। গোপ কলেজে ভূগোল অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মোনালিসা। বাড়ি পিংলার বড়াই গ্রামে। রবিবার কলেজ হস্টেলে এসেছিলেন মোনালিসা। ফেরার সময় হস্টেল থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত অটো ধরেন ওই কলেজ ছাত্রী। অভিযোগ, সহযাত্রী দুই যুবকের একজন চলন্ত অটোতেই মোবাইল ক্যামেরায় মোনালিসার ছবি তুলছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে আপত্তি জানান মোনালিসা। বলে ওঠেন, “মোবাইলে আমার ছবি তুলবেন না প্লিজ।” কিন্তু যুবক কথা শোনেনি। তখন তার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন ওই ছাত্রী। মোবাইলে তাঁর ছবি ‘ডিলিট’ও করে দেন। ইতিমধ্যে ফের ওই যুবক মোবাইলটি মোনালিসার হাত থেকে কেড় নেয়। ততক্ষড়ে অটো তাঁতিগেড়িয়া লেভেল ক্রসিংয়ের দাঁড়িয়ে পড়েছে। চিৎকার শুরু করেন মোনালিসা। লোক জড়ো হয়ে যায়। অভিযুক্ত যুবককে অটো থেকে নামিয়ে মারধর শুরু হয়। খবর দেওয়া হয়ে পুলিশে। তবে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই ওই যুবক ও তার সঙ্গী ছুটে পালায়। ইতিমধ্যে মোবাইলটি মোনালিসার হাতে চলে এসেছে। দুপুরে কোতয়ালি থানায় গিয়ে ওই মোবাইল পুলিশের কাছে জমা দেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেন, “ওই যুবককে খুঁজে পেলে বলবেন, এমন কাজ আর না করতে। আজ আমার সঙ্গে এমনটা হল, পরে অন্য কোনও মহিলার সঙ্গেও হতে পারে।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
মোবাইলে ছবি তুলে অশ্লীল এমএমএস ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েকবার ঘটেছে। এ ক্ষেত্রেও তেমন কিছুর আশঙ্কা করেই প্রতিবাদ জানান ওই কলেজ ছাত্রী। তিনি বলেন, “দুই যুবককে আমি চিনিই না। শুরুতে প্রতিবাদ করার সাহস হয়নি। কিন্তু যখন বারণ করা সত্ত্বেও ছবি তুলছে, তখন মোবাইল কেড়ে নিই। এই ছবি তো কম্পিউটরে কারিকুরি করে অন্যত্র ছড়িয়ে যেতে পারত।” অটো চালক সন্তু মজুমদারও এ দিনের ঘটনায় হতবাক। তাঁর কথায়,“ ছ’বছর ধরে এই রুটে অটো চালাচ্ছি। এমন ঘটনা এই প্রথম। কোনও যুবককে যেমন মহিলাদের ছবি তুলতে দেখিনি, তেমন কোনও মহিলাকে এ ভাবে প্রতিবাদ করতেও দেখিনি।” |
|
|
|
|
|