|
|
|
|
কুকুর-শুমারি করবে কারা, আজ বৈঠক |
অশোক সেনগুপ্ত • কলকাতা |
প্রায় চার বছর বাদে কলকাতায় হবে কুকুর-শুমারি। কবে থেকে কারা এই সমীক্ষা করবে, তা চূড়ান্ত করতে আজ, সোমবার বৈঠক ডাকা হয়েছে পুরসভায়। এর আগে ২০০৭-০৮ অর্থবর্ষে শহরে যে সমীক্ষা হয়, তাতে পথকুকুরের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৮ হাজার। পুর-কর্তৃপক্ষের অনুমান, সেই সংখ্যা বেড়ে এখন এক লক্ষের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রস্তাবিত শুমারিতে শহরের কোন অঞ্চলে পথ-কুকুরের বৃদ্ধির হার বেশি, তা খতিয়ে দেখা হবে। কুকুরের নির্বীজকরণের কাজে গতি না-আসায় এই বৃদ্ধি যে সাধারণ মানুষের অনেকের কাছে আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। তিনি বলেন, “প্রস্তাবিত বৈঠকে পুরসভার স্বাস্থ্য, লাইসেন্স এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এই তিন বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবেন। সম্ভব হলে পুরসভা নিজেই এই শুমারির কাজ করবে।” অতীনবাবু জানান, দেশের অন্য বড় শহরগুলিতে পথ-কুকুরের সংখ্যার আন্দাজ পাওয়ারও চেষ্টা করছে পুরসভা।
ধাপা এবং এন্টালিতে পুরসভার দু’টি খোঁয়াড়ে একসঙ্গে যথাক্রমে ১৫০টি ও ১৪০টি কুকুর রাখা সম্ভব। এ ছাড়া পুরসভা ও রাজ্য সরকার অনুমোদিত কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কেন্দ্রের অনুদানে কুকুরের নির্বীজকরণের কাজ করে। সরকারি সূত্রে খবর, এ সব সত্ত্বেও গত ৩ বছরে প্রায় ৮ হাজারের বেশি কুকুরের নির্বীজকরণ করা যায়নি। বেড়েছে ‘নেড়ি কুকুরের’ সংখ্যা। অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন জলাতঙ্কে।কেন এই হাল?
অতীনবাবু বলেন, “এর অন্যতম প্রধান কারণ কুকুর ধরার পরিকাঠামোর অভাব। দ্বিতীয় প্রধান কারণ ল্যাপারোস্কোপি পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের সুযোগ না-থাকা। এখন নির্বীজকরণের পরে প্রায় এক সপ্তাহ কুকুরকে যত্ন করতে হচ্ছে। ল্যাপারোস্কোপি চালু হলে মাসে প্রায় ২ হাজার কুকুরের নির্বীজকরণ সম্ভব হবে।” তিনি আরও জানান, মুশকিল আসানের জন্য কুকুর ধরার ৪টি গাড়ি কিনছে পুরসভা। খরচ পড়বে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। চলতি মাসেই তা আসার কথা। এ ছাড়া, কুকুরের ল্যাপারোস্কোপি করতে যে যন্ত্র দরকার, তার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকা।
কলকাতা পুরসভা তিনটি জায়গা থেকে বিনামূল্যে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক দেয়। এ কথা জানিয়ে মেয়র-পারিষদ (স্বাস্থ্য) বলেন, “চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে শহরের ৩০টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নিয়ে প্রচারাভিযান হবে। তার মূল স্লোগান হবে ‘কুকুর থেকে বাঁচুন’।” |
|
|
|
|
|