|
|
|
|
জামশেদপুরে প্রার্থী দিচ্ছে তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও রাঁচি |
পশ্চিমবঙ্গে পালাবদল ঘটিয়ে এ বার পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে সংগঠনের ভিত বাড়াতে তৎপর হল তৃণমূল। জামশেদপুর লোকসভা আসনে উপনির্বাচন ১ জুলাই।
তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন এই কেন্দ্রেরই প্রাক্তন সাংসদ সুমন মাহাতো।
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সাংসদ সুমন গত কাল তৃণমূলে যোগ যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই, আগামী উপনির্বাচনে তাঁর ভোটে লড়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে। সেই জল্পনা সত্য বলেই আজ জানিয়ে দিল তৃণমূল। সুমন এ দিন কলকাতায় এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রেল প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করেন। পরে মুকুলবাবু বলেন, “সুমনদেবী আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। তিনি শীঘ্রই জামশেদপুরে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।” ১৪ জুন মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
মুকুলবাবু জানান, ঝাড়খণ্ডে এর আগেও একাধিক স্তরের ভোটে অংশ নিয়েছে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছিল। জিততে না পারলেও প্রাপ্ত ভোটের হার ভালই ছিল। রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও অংশ নিয়েছে দল। জেলা পরিষদে তুন্নি হাঁসদা নামে এক জন সদস্যাও রয়েছেন। এ বার ঝাড়খণ্ডে তৃণমূলের সংগঠন ঢেলে সাজা হচ্ছে বলে মুকুলবাবু জানান। এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সদস্য কে ডি সিংহ।
সুমন দলে আসায় জামশেদপুরে ভাল ফলই আশা করছে তৃণমূল। তিনি জামশেদপুরের প্রাক্তন জেএমএম সাংসদ সুনীল মাহাতোর স্ত্রী। ২০০৭ সালের ৪ মার্চ ঘাটশিলার কাছে দোলের সময়ে এক ফুটবল ম্যাচের আসরে সুনীলবাবুকে গুলি করে মারে মাওবাদীরা। জেএমএম-এর টিকিটে স্বামীর শূন্য আসনে জিতে সাংসদ হন সুমন। কিন্ত ২০০৯ সালের লোকসভার ভোটে বিজেপি-র অর্জুন মুন্ডার কাছে তিনি হেরে যান এই কেন্দ্রে। অর্জুন গত বছর ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে খরসোঁয়া বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। জামশেদপুরের লোকসভা আসনটি এ ভাবে শূন্য হয়ে যেতেই ফের ভোটে লড়ার জন্য তদ্বির শুরু করেন সুমনদেবী। কিন্তু গত বারের পরাজিত প্রার্থীকে জেএমএম এ বার টিকিট দিতে রাজি হয়নি। গত কাল রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুধীর মাহাতোকে তারা জামশেদপুরে প্রার্থী করে।
আর তার পরই নাটকীয় ভাবে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন সুমন। জেএমএম-এর দাবি, সুমন দল ছাড়ায় কোনও ক্ষতি হবে না। আগে এক বার ‘সহানুভুতি-ভোটে’ সুমন জিতলেও এ বার ভোটাররা তাঁর প্রতি দাক্ষিণ্য দেখাবেন না।
অন্য দিকে, বিজেপি-ও এ দিন সন্ধ্যায় দলের রাজ্য সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামীকে জামশেদপুরে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জোটসঙ্গী বিজেপি, জেএমএম এবং আজসু এ বার এই কেন্দ্রে নিজেদের মধ্যে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস দলীয় বিধায়ক বন্যা গুপ্তকে এবং বাবুলাল মরান্ডির দল ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা প্রাক্তন আইপিএস অজয় কুমারকে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামশেদপুরে। |
|
|
|
|
|