|
|
|
|
অনশন তুললেন রামদেব |
সংবাদসংস্থা • দেরাদুন |
শেষ হল ৯ দিনের অনশন পর্ব। ফলের রস খেয়ে অনশন ভঙ্গ করলেন রামদেব।
দেশের নানান দুর্নীতি ও কালো টাকা লেনদেনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে অনশন শুরু করেছিলেন রামদেব। ৪২ বছর বয়সী যোগগুরুর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবুও আরও দু-তিন দিন পর্যবেক্ষণের পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে।
ধর্মগুরু রবিশঙ্কর আজ দেরাদুনের হাসপাতালে রামদেবের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “বেশ কয়েক জন ধর্মগুরুর উপস্থিতিতে ফলের রস পান করে অনশন ভেঙেছেন রামদেব।”
রামদেবের অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি উভয় শিবিরই। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জনার্দন দ্বিবেদী বলেন, “খুব ভাল খবর।” বিজেপি-র মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “রামদেবের এই সিদ্ধান্তে দল খুশি।” কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, “এই ‘নাটক’ শেষ হওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি। এই নিয়ে আর কোনও আলোচনার প্রয়োজন দেখছি না।” |
|
ফলের রস খেয়ে অনশন ভাঙছেন রামদেব। পিটিআই |
সকালেই রামদেবের সঙ্গে দেখা করে আসেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল এবং হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালা।
বিজেপি নেতা রাজীবপ্রতাপ রুডি বলেন, “দেশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাঁরাই সরব হচ্ছেন, তাঁদেরই দেশের শত্রু সাজানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস।” জনতা পার্টির সভাপতি সুব্রহ্মণ্যম স্বামী কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও সাংসদ রাহুল গাঁধীকে কটাক্ষ করে বলেন, “দেশের এই অবস্থায় মা-ছেলে সুইৎজারল্যান্ডে বসে আছেন।”
হরিদ্বারের পতঞ্জলি যোগপীঠ আশ্রমে অনশনে বসে অসুস্থ হয়ে পড়া রামদেবকে গত শুক্রবার হিমালয় ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের কর্ণধার বিজয় ধাসমানা বলেন, “রামদেবকে অনশন তুলে নেওয়ার জন্য যাঁরা অনুরোধ জানাতে এসেছিলেন, তাঁদের সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যোগগুরু ভাল আছেন। তবে আজই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। আরও দু-তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর তাঁকে ছাড়া হবে।”
রামদেবের সঙ্গেই অনশন শেষ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী বালকৃষ্ণ। অসুস্থ হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনিও। অনশন উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হাজার হাজার ভক্তর অনুরোধ মাথায় রেখে উনি অনশন তুলে নিয়েছেন। যে ভক্তরা অনশন করছিলেন, তাঁদেরও অনশন তুলে নিতে বলেছেন। তবে দুর্নীতি ও কালো টাকার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলতেই থাকবে।” |
|
|
|
|
|