|
|
|
|
এ বার উন্নততর ইভিএম আনছে নির্বাচন কমিশন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অসমে আঞ্চলিক একটি দল বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র (ইভিএম) বাতিল করে ব্যালটে ভোট নেওয়ার কথা বলেছিল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে। দলটির বক্তব্য ছিল, ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি আজ গুয়াহাটিতে সাফ জানিয়ে দিলেন, ইভিএমের বদলে ব্যালট নয়। ইভিএমে কারচুপির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে কুরেশি জানান, কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত উন্নততর ইভিএম আনছে নির্বাচন কমিশন। দেশের ২০০টি পোলিং বুথে, বিভিন্ন ধরনের আবহাওয়ায় সেগুলি কেমন কাজ করে তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। কুরেশির আশা, পরবর্তী ভোটের আগেই অসমে ‘সন্দেহজনক ভোটারের’ বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। রাজনীতি থেকে অপরাধীদের দূরে রাখা, রাজনৈতিক দলগুলির ব্যয়ের উপরে কড়া নজর রাখা, দুর্নীতিদমন ও দলত্যাগ-বিরোধী আইন কঠোর করার প্রতিশ্রুতি-সহ নির্বাচনবিধি সংস্কার সংক্রান্ত আলোচনাসভা শেষ হল। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক ও নির্বাচন কমিশনের যৌথ উদ্যোগে নির্বাচনবিধি সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে আঞ্চলিক আলোচনাসভা চলছে। আজ গুয়াহাটিতে সপ্তম তথা শেষ আলোচনাসভায় হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি, উত্তর-পূর্ব উন্নয়নমন্ত্রী বিজয়কৃষ্ণ হান্ডিক, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। মইলি বলেন, “রাজনীতি থেকে অপরাধ ও অপরাধীদের দূরে রাখা আমাদের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে, নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলির ভোট কেনার চেষ্টা ও বিপুল ব্যায়ের দিকটিও কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।” নির্বাচনবিধি সংস্কার সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাবটি সংসদে আসন্ন বাদল অধিবেশনে পেশ করার চেষ্টা হবে। বাদল অধিবেশনের মধ্যে সম্ভব না হলে, ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করে ফেলবে আইন মন্ত্রক।
অসমের ক্ষেত্রে টাকার জোরে ভোট কেনাবেচা হয় না বলে আশ্বস্ত করেন গগৈ ও হান্ডিক। মিজোরামে, গির্জার তরফে ফতোয়া জারি করে ঘরে ঘরে ভোট প্রচার বন্ধ করার যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাকে স্বাগত জানান মইলি ও কুরেশি। নির্বাচনের আগে, পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকদের বদলির প্রয়োজনীয়তা মেনে নিলেও উন্নয়নক্ষেত্রগুলিতে বদলির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গগৈ। |
|
|
|
|
|