|
|
|
|
নিহত ডাক্তারের পরিবার ক্ষতিপূরণ নিলেন না |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
গোপালগঞ্জে জেলের মধ্যেই কয়েদিদের প্রহারে নিহত চিকিৎসকের পরিবার সরকারি ক্ষতিপূরণের অর্থ ফিরিয়ে দিলেন। আজ নিহত চিকিৎসক বুদ্ধদেব সিংহের পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, খুনের ঘটনার ন্যায়বিচার না পাওয়া অবধি সরকারি ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, ২৯ মে রাতে গোপালগঞ্জ জেলে অপহরণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী রঞ্জন যাদবের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান চিকিৎসক বুদ্ধদেব সিংহ। রঞ্জন দলবল-সহ ওই ডাক্তারকে চাপ দেন মিথ্যা সার্টিফিকেট দিয়ে তাঁদের জেল থেকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে। এমন
অন্যায় দাবি মানতে অস্বীকার করেন চিকিৎসক বুদ্ধদেব। অভিযোগ, এতেই ক্রুদ্ধ হয়ে রঞ্জন-সহ সাত জন কয়েদি বেধড়ক মারধর করে ওই চিকিৎসককে। পরে রাতে পটনায় চিকিৎসার জন্য আনার পথে মৃত্যু হয় বুদ্ধদেব সিংহের।
জেলে চিকিৎসা করতে গিয়ে কয়েদিদের মারে বয়স্ক একজন চিকিৎসকের মৃত্যুতে রাজ্য জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিহার হেলথ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। বিরোধী দলগুলিও তোপ দাগতে থাকে নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ৩১ মে নীতীশের নির্দেশে বিহারের আইজি (কারা) রমেশ লাল এবং গোপালগঞ্জের জেলাশাসক পঙ্কজ পালকে বদলি করা হয়।
প্রশাসন স্তরে এই সব ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি, ঘটনার দু’দিন পরেই নিহত চিকিৎসক বুদ্ধদেব সিংহের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। একই সঙ্গে পরিবারের এক জন সদস্যকে রাজ্য সরকারের চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। নীতীশ ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনায় জেল প্রশাসনের গাফিলতি মেনে নিয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছেন।
আজ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আমির সুভানি-সহ রাজ্য সরকারের এক প্রতিনিধি দল নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিতে গেলে। কিন্তু তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ন্যায়বিচার না পাওয়া অবধি ক্ষতিপূরণের অর্থ গ্রহণ করা হবে না বলে বুদ্ধদেব সিংহের পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|