|
|
|
|
সনিয়াকে চিঠি ক্ষুব্ধ আন্নার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
তাঁকে আরএসএস ও বিজেপি-র মুখোশ বলে সরকার ও কংগ্রেসের একাংশ অভিযোগ আনায়, অসন্তোষ জানিয়ে সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখলেন আন্না হাজারে।
আন্নার অভিযোগ, “যন্তর মন্তরে অনশন আন্দোলনে মানুষ যে ভাবে সমর্থন জানিয়েছিলেন, তা যাতে ভবিষ্যতে আর না হয়, সে জন্য কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতারা পর্যন্ত অপপ্রচার করছেন।” শুধু কংগ্রেস নেতাদের নামে অভিযোগ নয়, আন্না তাঁর চিঠিতে এ-ও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, বিজেপি বা সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর কথায়, “গুজরাতে যে বহু দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে, সে কথাও আমি বলেছি। বিজেপি বা আরএসএসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে এ কথা বলতাম কি? তা ছাড়া রামদেবের আন্দোলনে সমর্থন জানালেও স্পষ্ট করে দিয়েছিলাম, মঞ্চে কোনও সাম্প্রদায়িক শক্তির নেতা বা রাজনীতিক থাকলে আমার পক্ষে উপস্থিত থাকা সম্ভব নয়।” আন্নার এও অভিযোগ, জন লোকপাল বিল নিয়ে সরকার কথার খেলাপ করেছে। সরকার এ বিষয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার থেকে বিরত থাকুক। বরং এমন লোকপাল বিল আনা হোক, যাতে দুর্নীতি দমনের প্রকৃত উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়।
তবে কংগ্রেসের মুখপাত্র মনীশ তিওয়ারি আজ বলেন, রামদেব থেকে আন্না, সকলের প্রকৃত চেহারা কংগ্রেস ফাঁস করে দেওয়ায় এখন ওঁরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। তবে কংগ্রেস সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে যাবে। সঙ্গে সরকারও ৩০ জুনের মধ্যে লোকপাল বিলের খসড়া চূড়ান্ত করে প্রমাণ করে দেবে, দুর্নীতি দমনে ইউপিএ সরকারও আন্তরিক।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহ এ কথাও বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী এবং বিচারবিভাগকেও লোকপালের আওতায় আনা উচিত। তিনি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদকে লোকপালের আওতায় এনেওছিলেন। কিন্তু একই সঙ্গে আন্নাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ অক্ষুণ্ণ রেখে দিগ্বিজয় বলেন, যে ভাবে কিছু মানুষ সরকারের উপরে চাপ তৈরি করছেন, সেটা গণতন্ত্রের পক্ষে ভাল নয়। |
|
|
|
|
|