|
|
|
|
মনমোহনের কাছে আজ দিল্লিতে জয়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
তামিলনাড়ু নির্বাচনে ডিএমকে-কে পুরোদস্তুর ধরাশায়ী করার ঠিক এক মাস পর কাল দু’দিনের সফরে দিল্লি আসছেন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হচ্ছে, নিতান্তই সরকারি সফরে রাজধানী আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে কাল কী ইঙ্গিত দেবেন তিনি? সাগ্রহ অপেক্ষায় রয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব, উদ্বেগে রয়েছে ডিএমকে শিবির।
তামিলনাড়ু ভোটে এ বার জয়ললিতা-ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে ডিএমকে-কংগ্রেস জোট। তার পর থেকেই সাত বছরের এই জোট নিয়ে টানাপোড়েন আরও প্রবল হয়েছে। দু’পক্ষই দাবি করে যাচ্ছে, জোট অটুট রয়েছে। কিন্তু সেটা যে আপাতত রাজনৈতিক প্রয়োজনে সহাবস্থানমাত্র, তা-ও প্রমাণিত হচ্ছে বারবার। কারণ জোট রাখলেও স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে কানিমোঝির গ্রেফতারের জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন করুণানিধি। তেমনই তামিলনাড়ু ভোটে ভরাডুবির জন্য ডিএমকে-কে দায়ী করতে শুরু করেছে কংগ্রেস। ঠিক এই রকম একটা পরিস্থিতিতেই দিল্লি সফরে আসছেন জয়ললিতা।
তবে দিল্লি এলেও সনিয়ার সঙ্গে জয়ার সাক্ষাতের সম্ভাবনা নেই। কারণ, সনিয়া গাঁধী ইতালিতে রয়েছেন। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতার কথায়, সনিয়া ছুটিতে থাকায় কংগ্রেস-আম্মা উভয়ের পক্ষেই ভাল হল। কারণ, সনিয়া দিল্লিতে থাকা সত্ত্বেও জয়ললিতা যদি দশ জনপথে না যেতেন, তা হলে নানা রকম জল্পনা শুরু হত। উভয়কেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হত। আবার যতক্ষণ ডিএমকে কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে, ততক্ষণ জয়ললিতা নিজের হাতের তাস লুকিয়েও রাখতে চান। বরং নরেন্দ্র মোদী থেকে প্রকাশ কারাট, সকলের সঙ্গে দরজা খুলে রাখতে চান। ফলে সনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ এই মুহূর্তে এড়াতেই চাইতেন তিনি।
এআইডিএমকে সূত্রে বলা হচ্ছে, দিল্লি সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের কিছু প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের সহযোগিতা দাবি করার পাশাপাশি তিনি তামিল মৎস্যজীবীদের ওপর শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর আক্রমণের বিষয়টিও উত্থাপন করবেন। প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পরেই শ্রীলঙ্কার উপরে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য তামিলনাড়ু বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাশ করেছেন জয়ললিতা। এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলোচনার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননকেও পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। |
|
|
|
|
|