|
|
|
|
উত্তরাখণ্ডে দুর্ঘটনা, মৃত হুগলির ৪ পর্যটক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
চারধাম বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দম্পতি-সহ চার বাঙালি পর্যটকের। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হরিদ্বার-হৃষিকেশ রাস্তায়, দেরাদুন জেলার রায়ওয়ালা থানা এলাকায়। মৃতেরা সকলেই হুগলির বাসিন্দা।
রায়ওয়ালা থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃতেরা হলেন দীপেন্দু সামন্ত (৪২), তাঁর স্ত্রী পম্পা (৩৮), দীপেন্দুর ভাই দীপেশ (৩৭) এবং প্রদীপ মান্না (৫২)। প্রথম তিন জন সিঙ্গুর থানার রতনপুরের বাসিন্দা। প্রদীপবাবু পুড়শুড়ার বাসিন্দা এবং সম্পর্কে দীপেশবাবুদের আত্মীয়। হৃষিকেশের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট প্রতাপ শাহ বলেন, “এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা-৭টায় প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি হয়। তখন ওই পর্যটকেরা গাড়িতে কেদারের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই গাড়িতে চালক-সহ মোট ১৪ জন ছিলেন। হঠাৎ একটি বড় গাছ গাড়ির উপরে ভেঙে পড়ে। তাতেই চার জন মারা যান। দুই মহিলা-সহ তিন জন গুরুতর জখম হন।”
পুলিশ জানিয়েছে, গুরুতর আহতদের মধ্যে মৃত দীপেন্দুবাবুর বছর সতেরোর মেয়ে শিল্পাও আছে। শিল্পা, বাবলি মান্না-সহ তিন আহতকেই হৃষিকেশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সিঙ্গুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মৃত ও আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপেন্দুর আদি বাড়ি রতনপুরে হলেও কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকতেন। দীপেশবাবু শনিবারই দাদার বাড়িতে পৌঁছন। দেরাদুনের পুলিশ সুপার জি এস মার্তোলিয়া বলেন, “দিল্লি থেকে এই পর্যটকেরা যাত্রা করেছিলেন। ঘটনাস্থলেই ওই চার জনের মৃত্যু হয়।” ময়নাতদন্তের পরে মৃতদেহগুলি আজ, সোমবার আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ দিকে, আহতদের ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। এ দিন সন্ধ্যায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নিজে ফোনে যোগাযোগ রাখছেন। কী ভাবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মৃত চার জনের দেহ নিয়ে আসা যায়, তা আমরা দেখছি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়-ও উত্তরাখণ্ড পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ
করছেন।” উত্তরাখণ্ডের একমাত্র বাঙালি মন্ত্রী (তফসিলি জাতি-উপজাতি কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী) বিজয় মণ্ডল জানিয়েছেন, মৃতদেহ এবং আহতদের ঠিকমতো পৌঁছনোর
ব্যবস্থা তাঁরা করবেন। |
|
|
|
|
|