|
|
|
|
বর্ষায় ফের ভাসার আশঙ্কা শহরতলির |
সঞ্জয় চক্রবর্তী |
দক্ষিণ শহরতলির নিকাশি খালগুলির সংস্কার না-হওয়ায় এই বর্ষাতেও ভাসতে চলেছে বেহালা, ঠাকুরপুকুর ও গার্ডেনরিচের বিস্তীর্ণ এলাকা। মূলত চড়িয়াল, বেগোর ও মণিখালি খাল নিয়েই গড়ে উঠেছে ওই অঞ্চলের নিকাশি। সম্প্রতি সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডলকে নিয়ে ওই তিন খাল সরেজমিন দেখতে যান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন পুর নিকাশি বিভাগের কর্তারাও।
পুরকর্তারা জানান, বিভিন্ন জায়গায় তিনটি নিকাশি খাল ভর্তি আবর্জনায়। ২০ ফুট চওড়া খাল মজে অনেক জায়গায় ৬ ফুটে দাঁড়িয়েছে। বাখরাহাটের কাছে চড়িয়াল খালে রিং বাঁধ দিয়ে চলছে সেতু তৈরি। ফলে থমকে খালের জল-প্রবাহ। বর্ষার আগে ওই তিনটি খাল নিকাশির উপযুক্ত করা যে কঠিন, মানছেন নিকাশি-কর্তারাও।
পরিস্থিতি সামলাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খাল পরিষ্কার করতে সেচ দফতরের কাছে আবেদন জানান মেয়র। তিনি বলেন, “বর্ষার জল দ্রুত নামাতে বহু দিন ধরেই শহরের সব নিকাশি নালা সাফাই চলছে। সাফ হয়েছে গালিপিটগুলিও। বর্ষার মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে পুরসভা। সেচ দফতর তাদের নিকাশি খাল সাফ করলেই সমস্যার সমাধান হতে পারে।’’ অর্থাৎ এ বার বর্ষায় বেহালা-ঠাকুরপুকুর-গার্ডেনরিচ ভাসলে, তার দায় সেচ দফতরের উপরে আগাম চাপিয়েছেন পুরকর্তারা।
সেচ প্রতিমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল বলেন, “বর্ষায় কলকাতা যাতে জলমগ্ন না হয়, তার সার্বিক প্রচেষ্টা থাকবে। চড়িয়াল খালের রিং বাঁধ কাটা শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। দ্রুত চলবে খাল পরিষ্কারও।” মেয়র পারিষদ (নিকাশি) রাজীব দেব জানান, ওই তিনটি খালের উপর নির্ভর করছে বেহালা, ঠাকুরপুকুর ও গার্ডেনরিচের ১১৯ থেকে ১৪০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা। সুষ্ঠু নিকাশির জন্য পাম্পিং স্টেশনগুলিতে শক্তিশালী বেশ কিছু নতুন পাম্প বসানো হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে শহরের ৪৭টি পাম্পিং স্টেশনকেই। অতি বর্ষণের মোকাবিলাতেও আগাম প্রস্তুতি সারা। পুর নিকাশি-কর্তারা জানান, টানা কয়েক ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিতে জল জমবে না এমন বলা অবাস্তব। কিন্তু আগাম ব্যবস্থা থাকলে জমা জল দ্রুত নামানো খুব কঠিন নয়। ১৫ জুন থেকে উল্টোডাঙা মোড়, হৃষিকেশ পার্ক, ট্র্যাঙ্গুলার পার্ক ও সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে ২৪ ঘণ্টা নিকাশি দফতরের ১০০ জন কর্মী থাকবেন, যাতে জল জমলেই ম্যানহোলের মুখ দ্রুত খোলা যায়। একই সঙ্গে শহরের অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় ৬৭টি পাম্প অস্থায়ী মজুত থাকবে। অলিগলির জমা জল দ্রুত নামাতেও ব্যবস্থা হচ্ছে। গালিপিটের মুখ খোলার জন্য প্রতিটি বরো কমিটির অফিসে ২৪ ঘণ্টা থাকবেন ১০ জন করে কর্মী। |
|
|
|
|
|