|
|
|
|
জয়ন্তী বনবাংলো অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে
মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় ‘নেচার ক্লাব’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
জয়ন্তী বনবাংলোয় অগ্নিকাণ্ড ‘অন্তর্ঘাত’এমনই অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চাইবে আলিপুরদুয়ারের এক পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। শুক্রবার রাতে এক অগ্নিকাণ্ডে ডুয়ার্সের বক্সা অভয়ারণ্যের ওই বনবাংলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। কী ভাবে ওই বাংলোয় আগুন লাগল তা দেখতে পুলিশের তরফে ফরেন্সিক বিভাগের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। দমকল ও বন দফতর ঘটনার পৃথক ভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বন দফতরের প্রাথমিক রিপোর্টে অবশ্য অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ, সোমবার বন দফতরের তরফে মহাকরণে রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনের কাছে একটি রিপোর্টও পাঠানো হবে। ‘আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাব’-এর পক্ষ থেকে ওই অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে বলেই সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়ে তদন্তের দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংস্থার চেয়ারম্যান অমল দত্ত-র দাবি, “২০০৭ সালে ওই বনবাংলো তৈরির সময়ে সেগুন কাঠ নিয়ে দুর্নীতি হয়। অগ্নিকাণ্ডের রাত ১০টা পর্যন্ত কিছু লোককে বাংলোর সামনে ঘুরতে দেখা গিয়েছে বলেও খবর মিলেছে। সন্দেহ তো হবেই।”
বক্সার উপ-ক্ষেত্র অধিকর্তা ভাস্কর জে ভি রবিবার বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়ালকে নিয়ে পুড়ে যাওয়া বাংলো পরিদর্শন করেন। অনুপবাবু অবশ্য বলেন, “প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে হচ্ছে, অন্তর্ঘাত নয়। তবে ফরেন্সিক রিপোর্ট পেলে এ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব।”
পুলিশ ও বন দফতরের অনুমান, বাংলোর কলিং বেল থেকে ‘শর্টসার্কিট’ হয়ে আগুন লেগে থাকতে পারে। কলিং বেলটি বাংলোর পাশে এক শ্রমিকের ঘরে ছিল। সেটির বৈদ্যুতিক সংযোগ ছিল বাংলোয়। আগুন লাগার সময়ে কলিং বেলটি দীর্ঘ ক্ষণ বাজতে শুনেছেন অনেকেই। তবে আগুন লাগার অন্তত দেড় ঘণ্টা পরে দমকলে কেন খবর দেওয়া হল, স্পষ্ট নয় আধিকারিকদের কাছে। দমকলের আলিপুরদুয়ারের আধিকারিক প্রদীপ সরকার বলেন, “রাত ১টা ৫৮ মিনিটে আগুনের খবর পাই। ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছই। ততক্ষণে অবশ্য বাংলোর ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।”
ওই আধিকারিকের যুক্তি, দাহ্য পদার্থ ছাড়া, শুকনো কাঠে আগুন লাগতে ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে। একটি কাঠের বাড়ি পুরোপুরি পুড়তে সময় লাগে দেড় ঘণ্টার মতো। ওই সময়ে তৈরি হয় ৬০০-৭০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা। দমকলে সূত্রের খবর, তারা যখন অগ্নিকাণ্ডের খবর পায়, তার অন্তত দেড় ঘণ্টা আগে আগুন লেগেছিল বাংলোয়। বাংলোর সোফা, নাইলনের পর্দা এবং অন্য আসবাব আগুন দ্রুত ছড়াতে সাহায্য করে। কলিং বেল থেকে আগুন ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে ওই আধিকারিক বলেন, “অনেক সময়ে আগুন লেগে তার পুড়ে ‘নেগেটিভ’ এবং ‘পজিটিভ’ এক হয়ে গেলে কলিং বেল নাগাড়ে বাজতে পারে। সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|