পস্কো প্রকল্প
ছাড়পত্র জমি দখলের শর্ত নয়, হুঁশিয়ারি রমেশের
স্কো প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে এই মুহূর্তে গোবিন্দপুর গ্রামে প্রবল প্রতিরোধের মুখে ওড়িশা সরকার। তারই মধ্যে আজ কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ ওড়িশা প্রশাসনকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, প্রকল্পে কেন্দ্রের পরিবেশগত অনুমোদনকে যেন ‘জোর করে’ জমি অধিগ্রহণের ছাড়পত্র হিসেবে ব্যবহার না-করে তারা।
অন্তত ক’দিনের জন্য প্রতিবাদ-প্রতিরোধ দূরে সরিয়ে রেখে হাঁফ ছাড়বেন প্রকল্প বিরোধীরা। আপাত স্বস্তিতে থাকবে প্রশাসনও। কারণ ‘রজ’ উৎসব উপলক্ষে রবিবার থেকে ৫ দিনের জন্য জমি অধিগ্রহণ বন্ধ বলে জানিয়েছেন জগৎসিংহপুর জেলা কলেক্টর এন সি জেনা। কাজ শুরু হবে ফের ১৭ জুন।
রবিবার এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ জানান, জগৎসিংহপুরে দক্ষিণ কোরীয় সংস্থাটির ইস্পাত কারখানা এবং সেই সঙ্গে নিজস্ব বন্দর ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাবে পরিবেশ মন্ত্রক শুধুমাত্রই পরিবেশ ও বনাঞ্চল সংক্রান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে। তা-ও দীর্ঘ ভাবনা-চিন্তার পর এবং একাধিক বিষয়ে সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে। কাজেই রমেশের কথায়, “এই ‘ছাড়পত্র’ কোনও ভাবেই জোর করে জমি দখলকে অনুমোদন করে না।” ওড়িশা সরকারের প্রতি তাঁর আর্জি, পস্কোর জন্য জমি যেন আইনি পথে হেঁটে শান্তিপূর্ণ ভাবেই নেওয়া হয়। এবং সে ক্ষেত্রে জোরজবরদস্তি নয়, আলাপ-আলোচনাই পরিবেশ সুরক্ষার প্রধান শর্ত। কারণ গণতন্ত্রও সেটাই দাবি করে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই ঢিনকিয়ায় প্রকল্প-অঞ্চলে ঢোকার মুখে বিক্ষোভকারীদের একটি জমায়েতকে ‘বেআইনি’ ঘোষণা করে ওড়িশা সরকার। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সে দিন ওই অঞ্চল থেকে পুলিশ তুলে নিলেও পরের দিনই মোতায়েন করা হয় প্রায় ৮০০ পুলিশ কর্মী। তার পরই বিষয়টি ঘিরে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চাপান-উতোর। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ঢিনকিয়া অঞ্চলে চার জনের প্রতিনিধিদল পাঠায় কংগ্রেস। জমি অধিগ্রহণে জোর করা হবে না, এ কথা বললেও ওই অঞ্চলে পুলিশ মোতায়েন করায় সরকারের নিন্দা করেছে তারা। এই প্রেক্ষিতে আজই রমেশের এই সতর্কবাণী যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিক্ষোভ সমর্থন করে সিপিআই, সিপিএম জানিয়েছে, জোর করে জমি নিলে তার ফল ভুগতে হবে। গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে, মেরে জমি নিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলেও তাদের অভিযোগ। ফরওয়ার্ড ব্লক, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে তাদের প্রতিনিধিরাও শনিবারই ওই অঞ্চলে যান।
পস্কোর প্রস্তাবিত ইস্পাত প্রকল্পের জন্য জমি দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা তিন স্তরীয় মানব-শৃঙ্খল গড়ে দিন রাত ঢিনকিয়া ও গোবিন্দপুর এবং সংলগ্ন এলাকা পাহারা দিচ্ছেন। তিন স্তরীয় ওই শৃঙ্খলের একেবারে সামনের সারিতে রয়েছে বাচ্চারা। দ্বিতীয় স্তরে মহিলা ও বয়স্করা। আর সব শেষে বাদবাকি বিক্ষাভকারীরা।

হেরিটেজে রাজার দুর্গ
অবশেষে ‘হেরিটেজ’ স্বীকৃতি পেতে চলেছে কালিম্পং মহকুমার ডালিমকোটের রাজার দূর্গ। রবিবার এ কথা জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশনের উত্তরবঙ্গ নোডাল সেন্টারের কোঅর্ডিনেটর আনন্দগোপাল ঘোষ। কালিম্পং মহকুমার গরুবাথান ব্লকের অম্বিয়ক চা বাগান লাগোয়া দুর্গম এলাকায় চারশো বছর আগে লেপচা রাজা গাইবু আইচু ভুটান রাজার হামলা থেকে এই এলাকাকে রক্ষা করতে এই দূর্গ তৈরি করেন। এখন সেটির বেহাল দশা। ওদলাবাড়ি নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির সম্পাদক সুজিত দাস বলেন, “ডালিমকোটের এই দূর্গটির রক্ষনাবেক্ষণ হলে ডুয়ার্সে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে।” মালবাজার আদর্শ বিদ্যাভবনের শিক্ষক পরাগ মিত্র বলেন, “ডালিমকোটের দূর্গের ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকলেও তা প্রচারের আড়ালে ছিল।” হেরিটেজ কমিশনের উত্তরবঙ্গ নোডাল সেন্টারের কোঅর্ডিনেটর জানান, দু’বছর আগে হেরিটেজ কমিশনের কাছে এই দূর্গটির নাম পাঠানো হয়।
Previous Story Business First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.