ঘটনার প্রায় দেড় দিন পরে রবিবার সকালে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, তাণ্ডবের চিহ্ন তখনও স্পষ্ট। উপড়ে রয়েছে বিশাল গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। গ্রামের এখানে-ওখানে পড়ে রয়েছে টিনের চালা। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বেশ কিছু পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সদস্য, বধূ রেজিনা বিবি, জেরিনা বিবিরা জানালেন, শনিবার বিকেল থেকেই আকাশে মেঘ করেছিল। তার পরেই শুরু হয় দমকা হওয়া ও বৃষ্টি। পরিস্থিতি দেখে বাচ্চাদেক নিয়ে তাঁরা বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েন। ক্রমাগত বাড়ছিল হাওয়ার দাপট। তাঁদের কথায়, “চোখের সামনে হঠাৎ বাড়ির চালা উড়ে যায়। ভয়ে চিৎকার করি। বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ির বাইরে যাব তার উপায় ছিল না। কিছুক্ষণ পরে ঝড় থামলে পড়শিরা এসে আমাদের উদ্ধার করেন।” শেখ বুলবুল, শেখ কিয়ারফ, স্থানীয় মাদ্রাসার বাসিন্দা হাফি নবি নওয়াজরা বলেন, “হওয়ার তীব্রতা এত বেশি ছিল এক একটা বাড়ির টিনের চাল উড়ে প্রায় ১৫০-২০০ মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় যে যেখানে পেরেছেন আশ্রয় নিয়েছেন। ভেঙে গিয়েছে গ্রামের মাদ্রাসাটিও।”
তাঁরা জানান, যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। এখন কোথায় মাথা গুঁজবেন সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, ফরওয়ার্ড ব্লকের চন্দনা সৌ মণ্ডল বলেন, “গ্রামটি ভালই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি বিডিও-র কাছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করার জন্য আবেদন জানিয়েছি।” খরাশোলের যুগ্ম বিডিও সম্বল ঝা বলেন, “খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।” |