|
|
|
|
পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে জেলায় মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট ও বোলপুর |
জেলার বিভিন্ন জায়গায় দফতরের অধীন বিভিন্ন বাজার সমিতির কাজ ও পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। শনিবার প্রথমে তিনি পরিদর্শন করেন বোলপুরের নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি। তিনি বলেন, “বোলপুরের নেতাজি বাজার নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ শুনেছি। কাগজপত্র দেখতে চেয়েছি। বোলপুরের মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। কোনও রং দেখে নয়, লটারির মাধ্যমে আগ্রহীদের মাধ্যমে দোকান বিতরণ করা হবে।” দফতরের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। তাঁর আশ্বাস, “রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আমরা হিমঘর তৈরি করব। ৩৭টি হিমঘর তৈরি হবে। পেঁয়াজের জন্য দু’টি হিমঘর তৈরির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” পরে, তারাপীঠ ও নলহাটিতে পুজো দেন অরূপবাবু। নলহাটিতে এসে তিনি ঘুরে দেখেন রামপুরহাট নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির অধীন নলহাটির কবি ইকবাল মূখ্য বিপণন চত্বর। নির্বাচনের আগেই এটির শিলান্যাস হলেও এখনও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি এই বিপণন চত্বরের। ছ’মাসের মধ্যে তা শেষ করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। রামপুরহাট মহকুমা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সম্পাদক আকবর আলি বলেন, “রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা প্রকল্পটির জন্য অনুমোদন করা হয়েছে। এখানে ৫৬টি স্টল, ৮টি গোডাউন এবং ৩টি খাদ্য কেনাবেচার বাজার করা হবে। আগামী একমাসের মধ্যে প্রকল্পটির প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হবে।” পাশাপাশি, মহম্মদবাজারে নির্মীয়মান বহুমুখী হিমঘর তৈরির কাজও খতিয়ে দেখেন অরূপবাবু। সেই সঙ্গে জেলাতে আরও কয়েকটি বহুমুখী হিমঘর নির্মাণের পরিকল্পনা রাজ্য সরকার নিয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। |
|
নলহাটিতে মন্ত্রী অরূপ রায়। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম। |
এ দিন অরূপবাবু বলেন, “নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির পরিচালনের ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি এবং টোল আদায়ের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না পড়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাজার সমিতির অধীন টোল আদায় কেন্দ্রগুলিতে দুর্নীতি নিয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। তাই টোল আদায় কেন্দ্রগুলি তুলে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে আগামী বিধানসভা অধিবেশনে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তিনি জানান, যে সব টোল আদায় কেন্দ্রগুলির টাকা তোলার নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে, সেগুলি সবই তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে, এ ব্যাপারে দফতরের বিকল্প আয়ের উৎসের ব্যাপারেও অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বেল জানান তিনি।
তাঁর অভিযোগ, “গত মরসুমে সরকার রাজ্যে আলুচাষির কাছ থেকে আলু কেনার ক্ষেত্রে ১৮০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি করেছে।” তিনি জানান, আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে আরও তদন্ত করার জন্য এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, “যারা এই আলু কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।”
এ দিন রামপুরহাট নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির পক্ষ থেকে মন্ত্রীর কাছে নলহাটিতে কৃষি বিভাগের কাছ থেকে আরও ৩০ বিঘা জমি নিয়ে তার উপর বহুমুখী হিমঘর তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি কৃষি বিভাগের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় তারাপীঠে এখনই কৃষি বিপণন দফতর থেকে কিছু করা যাচ্ছে না বলে জানান মন্ত্রী। |
|
|
|
|
|