|
|
|
|
বর্ধমানে আরও আসন জিততেন, দাবি মুকুলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেমারি |
পরিবেশ-পরিস্থিতি ‘অনুকূল’ থাকলে বর্ধমান জেলায় তাঁরা আরও তিনটি আসন জিততেন বলে দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে দল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর রবিবারই প্রথম বর্ধমান জেলায় কর্মিসভা করে তৃণমূল। মেমারি কলেজে ওই কর্মিসভায় মুকুলবাবু বলেন, “বর্ধমানে আমরা ১৮টি আসন জিতেছি। পরিস্থিতি-পরিবেশ অনুকূল থাকলে আরও তিনটি আসন জিততে পারতাম। মঙ্গলকোটে আমরা মাত্র ১২৬ ভোটে হেরেছি। অন্য দু’টি আসনেও অল্প ব্যবধানে হেরেছি।” এই প্রেক্ষিতেই দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর উপরে জোর দেন মুকুলবাবু। একইসঙ্গে, তাঁদের জেতানোর জন্য বর্ধমানবাসীকে কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি। |
|
মেমারির সভায় তৃণমূল নেতারা। নিজস্ব চিত্র। |
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময় থেকেই বলে এসেছেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে রাজ্যবাসীকে ‘সুশাসন ও উন্নয়ন’ ‘উপহার’ দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে সেই প্রতিশ্রুতি পালনেই সর্বাধিক মনোনিবেশ করেছেন তিনি। এ দিন মুকুলবাবুও ওই কর্মিসভায় উপস্থিত নেতা-বিধায়কদের বলেন, “সুশাসন দেওয়া এবং উন্নয়ন করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই রাজ্যে আমাদের দলের প্রায় সাত হাজার কর্মী বা সমর্থক খুন হয়েছেন। তার পরেও আমরা বলেছি, বদলা নয়, বদল চাই। বদলের পরে রাজ্যের মানুষকে প্রকৃত উন্নয়নের স্বাদ দিতে হবে আমাদের।” মুকুলবাবু ঘোষণা করেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের পুনর্গঠন হবে। তাঁর কথায়, “আমাদের অনেক নেতা মন্ত্রী বা বিধায়ক হয়ে গিয়েছেন। তাই তাঁদের পদগুলিতে অন্যদের আনা হবে।”
দলের নেতা-কর্মীদের ‘সংযত’ থাকার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি শৃঙ্খলারক্ষার প্রশ্নে তাঁদের হুঁশিয়ারিও দেন মুকুলবাবু। তিনি বলেন, “কোন জেলার কোন গ্রামে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কী হচ্ছে, তা আমরা জানি। দিল্লিতে বসেও খবর পাই রায়নার কোটশিমুল গ্রামে কী হয়েছে। ভুলে যাবেন না, আপনারা কিছু লুকিয়ে পার পাবেন না। দলের কাজ ভাল করে করুন । তা হলে পুরস্কার পাবেন। কিন্তু খারাপ কাজ করলে তিরস্কার অপেক্ষা করবে।” এ দিন জেলার পদাধিকারীদের মধ্যে রদবদলের কোনও ঘোষণা তিনি করেননি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এই জেলায় বিধানসভা ভোটে আমরা যথেষ্ট ভাল ফল করেছি। তাই এখুনি রদবদলের কথা ভাবা হচ্ছে না।” |
|
|
|
|
|