|
|
|
|
অশান্তি আউশগ্রামেও |
মেমারিতে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম ৮, গ্রেফতার ১৭ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেমারি |
সিপিএম ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে জখম হলেন ৮ জন। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মেমারি থানার শালিগ্রামে। জখমেরা সকলেই তাদের সমর্থক বলে দাবি তৃণমূলের। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ অবশ্য জানায়, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় নবস্থা ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রণব দাঁ-সহ সিপিএমের ১৪ জন। ধৃত বাকি তিন জন তৃণমূল সমর্থক। রবিবার ধৃতদের সিজেএম আদালতে তোলা হলে জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মেমারি থানার পুলিশ জানায়, শালিগ্রামে পূর্ব পাড়া ও পশ্চিম পাড়ার কিছু বাসিন্দার মধ্যে কয়েক দিন ধরেই বিদ্যুৎ নিয়ে গণ্ডগোল হচ্ছিল। পূর্ব পাড়ার বাসিন্দাদের দাবি, পশ্চিম পাড়ার অনেকে হুক করে বিদ্যুৎ নিচ্ছেন। এর ফলে তাঁদের পাড়ায় কম ভোল্টেজ-সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁরা অতিরিক্ত ট্রান্সফর্মার বসানোর দাবি জানাচ্ছিলেন। |
|
আহতদের চিকিৎসা চলছে বর্ধমান মেডিক্যালে। নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি পশ্চিম পাড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য খুঁটি পোঁতার কাজ শুরু করেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ঠিকাদার। পূর্ব পাড়ার কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ওই কাজে বাধা দিচ্ছেন, এমন অভিযোগে শনিবার তাঁদের মারধর করেন পশ্চিমপাড়ার কয়েক জন। এর পরে কিছু লোকজন গিয়ে পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা তথা নবস্থা ১ পঞ্চায়েতের সিপিএম উপপ্রধান প্রণব দাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রণববাবুর বাড়ি ভাঙতুর করা হয়। এলাকায় অশান্তি ছড়ায়।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রদীপ তা-র অভিযোগ, “স্থানীয় কিছু লোকজন খুঁটি পোঁতার পরেও গরিবদের বাড়িতে বিদ্যুৎ যাওয়ার ব্যাপারে বাধা দিচ্ছিলেন। তার জেরেই মারপিট হয়েছে। আমাদের পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয়, পুলিশ উল্টে তাঁকেই গ্রেফতার করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ঘটনার প্রতিবাদ জানাব।”
তৃণমূল নেতা দেবনারায়ণ গুহর অবশ্য অভিযোগ, “বেছে বেছে এলাকার সিপিএম সমর্থকদের বড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার কথা শুনে এলাকার কিছু লোক প্রতিবাদ জানাতে যান। সিপিএমের লোকেরা তাঁদের উপরেই চড়াও হয়। তাদের হাতে মার খেয়েছেন আমাদের সমর্থকেরা।”
এ দিকে, রবিবার সন্ধ্যায় আউশগ্রামের দেবশালা গ্রামে তৃণমূল প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বিজয় মিছিল করে বলে অভিযোগ সিপিএমের। সেই মিছিল থেকে সিপিএমের আউশগ্রাম ২ দক্ষিণ লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, দলীয় কর্মী কার্তিক কোঙার-সহ পাঁচ জনের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। দলের গুসকরা জোনাল সম্পাদক অচিন্ত্য মজুমদার বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।” আউশগ্রামের তৃণমূল নেতা চঞ্চল গড়াই অবশ্য বলেন, “এমন কোনও ঘটনার খবর পাইনি। খোঁজ নিয়ে দেখব।” পুলিশ জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|